স্কুলবাস চালু করলে যে সুবিধা পাবেন
রাজধানীর গণপরিবহনে সকালবেলায় যাত্রীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ হচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকরা। সকালবেলাতেই দেখা যায়, যাদের নিজেদের পরিবহন নেই তাঁরা সন্তানদের বাস বা রিকশায় করে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছেন।
আবার যাদের নিজস্ব পরিবহন আছে, মানে প্রাইভেটকার আছে তাঁরা নিজেদের সন্তানদের গাড়িতে করেই স্কুল-কলেজ, প্রাইভেটে বা কোচিং সেন্টারে পাঠান। এটা ব্যস্ততম রাজধানীর যানজটের একটা প্রধান কারণও।
উন্নত দেশগুলোতে থাকলেও বাংলাদেশে শুধু স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কোনো পরিবহন সার্ভিস নেই। ঢাকা শহরে হাতেগোনা কয়েকটি স্কুলের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে।
তবে, খুব সাম্প্রতিককালে রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি স্থানে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নারীদের জন্য আলাদা বাস সার্ভিস শুরু হয়েছে। যা নারীদের যাতায়াতের জন্য অনুকূল পরিবেশে তৈরি করেছে।
এই বিষয়টি মাথায় রেখেই আগামী অর্থবছরের বাজেটে স্কুলবাস চালুর ওপর জোর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি এ ক্ষেত্রে যারা এগিয়ে আসবেন তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানের কথাও বলেছেন।
অর্থমন্ত্রী এ ব্যাপারে বলেন, ‘ঢাকা শহরে স্কুলগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য অধিকাংশ স্কুলেই কোনো স্কুল বাস নেই। তাই অভিভাবকগণ নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার করে তাদের সন্তানদের স্কুলে যাতায়াত নিশ্চিত করতে বাধ্য হচ্ছে, যা ঢাকা মহানগরীতে যানজট সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। উন্নত দেশের ন্যায় স্কুলের জন্য ডেডিকেডেট স্কুল বাস চালু করে যানজট নিরসন এবং ছাত্রদের স্কুলে যাতায়াত সহজতর ও নিরাপদ করা যেতে পারে। এ লক্ষ্যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা এজেন্সি স্কুল বাস সার্ভিস চালুর আগ্রহ প্রকাশ করলে তা যথার্যথ বিবেচনায় বিশেষ শুল্ক সুবিধায় আমদানির সুযোগ দেওয়া হবে।’
দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটের দিকে সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে বাজেট উপস্থাপন করার অনুমতি চান। অনুমতির পর তিনি বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে, অর্থাৎ পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এটি বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ বাজেট এবং অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত ১২তম বাজেট।
চলতি অর্থ বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ আকার বেড়েছে প্রস্তাবিত বাজেটের। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমায় কোনো পরিবর্তন রাখা হয়নি। ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থাকছে।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার প্রায় চার লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।