সবজিতে স্বস্তি, চড়া মাছ-মুরগি
মুরগি ও কয়েক প্রকার মাছের দাম ছাড়া বাকি সব দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল আছে। পর্যাপ্ত মজুদ থাকায় অন্যান্য বারের মতো রমজানের আগে জিনিসপত্রের দাম বাড়েনি বলে জানিয়েছেন খুচরা বিক্রেতারা। আয়ের তুলনায় বাজারমূল্য এমনিতেই বেশি অভিযোগ করে ক্রেতারা আহ্বান জানিয়েছেন, দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার। রিপোর্ট করছেন আবু সালেহ জহির।
রমজানের আগে প্রতিবছর ছোলাসহ প্রয়োজনীয় কয়েক প্রকার দ্রব্যের দাম বেড়ে যায়। তবে এবার এখনো ছোলার দাম নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। ভালো মানের ছোলা ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চিনি, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চালের দাম অপরিবর্তিত আছে।
বাজারে আসা এক যুবক (৩৫) বলেন, ‘গত বছরের মতোই আছে চিনি ও ছোলার দাম। চিনি তো ৫৫ টাকা করে গেল। আর ছোলা ৮০ টাকা করে। আমাদের যে ইনকাম লিমিট, তার সঙ্গে দামের কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট নাই।’
একই বাজারের এক দোকানি (২৭) বলেন, রমজানের যে কয়টা পণ্য আছে, তার দাম গত বছরের তুলনায় ৫-১০ টাকা করে কম আছে।
বিভিন্ন প্রকার মসলার দাম একই রকম থাকলেও কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে জিরা ও এলাচের দাম।
সবজির বাজারেও খুব বেশি ওঠানামা নেই। পটোল, কাঁকরোল, চিচিঙ্গা, টমেটোসহ বিভিন্ন রকম সবজির দাম অপরিবর্তিত আছে।
তবে ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহ ব্যবধানে ২০ টাকার মতো বেড়েছে। এ ছাড়া পাকিস্তানি কক ও দেশি মুরগির দামও কিছুটা বেড়েছে।
এক ক্রেতা (৫০) বললেন, ‘মুরগি কয়দিন আগে কিনলাম ১২০-১২৫ টাকা কেজি। আজকে ১৫৫ টাকা। দাম বেড়ে গেলে তো ক্রেতাদের ভোগান্তি হয়। অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হলো। আমাদের তো আর বাড়তি পয়সা আসছে না। মানে প্রতি মাসে যেভাবে খরচ করি, রমজান মাসেও একই।’
গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিপ্রতি ৪০ টাকার মতো বেড়েছে চাষ করা কৈ মাছের দাম। রুই-কাতলের দামও কেজিপ্রতি কিছুটা বেড়েছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে খুব একটা হেরফের হয়নি গরু-মহিষ ও খাসির মাংসের দাম।