বোরো ওঠার পর নামবে চালের বাজার
আগামী এক মাসের মধ্যে বাজারে চালের দাম কমার লক্ষণ দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। তবে বৈশাখে বাজারে চালের সরবরাহ বাড়বে, এতে দামও কিছুটা কমে আসবে বলে জানান তাঁরা। চালের বাড়তি দামে সাধারণ মানুষ কিছুটা হতাশ, তবে সবজির দামে সন্তুষ্ট তাঁরা।
কয়েক মাস আগে বাজারে কয়েক দফায় বেড়েছে চালের দাম। সেই বাড়তি দামই এখন স্থিতিশীল। বাজারে মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, আর মিনিকেট চালের কেজি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। বাড়তি এই দামে তাই হতাশ সাধারণ ক্রেতারা।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘সাধারণ ভোক্তা হিসেবে চালের বাজার যদি কমে, তাহলে তো আমাদের জন্যই ভালো। আরেকজন ক্রেতা বলেন, একপর্যায়ে দাম বেড়ে গিয়ে ওখানে থেমে আছে। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য, দাম বাড়ে ঠিকই; কিন্তু আবার যখন সরবরাহ বাড়ে, তখন কিন্তু কমে আগের জায়গায় যায় না। বেড়ে গিয়ে যেখানে থেকে যায় ওইখানেই থেকে যায়।’
বৈশাখের পর বাজারে নতুন চাল আসবে। এতে দামও কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করছেন চাল ব্যবসায়ীরা।
একজন চাল বিক্রেতা বলেন, ‘দামটা আগের মতই আছে, দাম বাড়ে নাই। তবে সিজন এলে চালের দাম মোটামুটিভাবের অনেক কমবে।’ আরেকজন বিক্রেতা বলেন, ‘সামনে যে বৈশাখ আছে। বৈশাখের ১৫ তারিখ থেকে ২০ তারিখের মধ্যে থেকে চাল নামা আরম্ভ হবে। তখন যায়া যদি কিছুটা কমে।’
অন্যদিকে বাজারে আসছে গ্রীষ্মকালীন সবজি। দামও বেশ সহনীয় বলে জানান ক্রেতা বিক্রেতারা।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘বাজারে সবজির উপস্থিত ভালোই আছে, দামও মোটামুটি রিজনেবলের ভেতরেই আছে। কিছুদিন আগেও অনেক দাম ছিল, এখন দাম কিছুটা কমতির দিকে।’
এক বিক্রেতা বলেন, ‘বেগুন ৩০ টাকা কেজি, গোলবেগুন ৪০ টাকা, করলা ৩০ টাকা কেজি, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা কেজি। মানে বর্তমানে ৪০ থেকে ৩০ মধ্যেই আছে।’
আরো বেশ কিছুদিন সবজির বাজার স্থিতিশীল থাকবে বলে জানান বিক্রেতারা।