গরম শুরু হয়েছে। গরমে প্রশান্তি দেয় এসি বা এয়ারকন্ডিশনার। তবে এসির দাম, মান ও বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে গ্রাহকের ভাবনার অন্ত নেই। এসবের সহজ সমাধান নিয়ে এসেছে দেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন। উচ্চ প্রযুক্তিতে নিজস্ব কারখানায় দেশে তৈরি হচ্ছে বলে ওয়ালটন এসি দামে সাশ্রয়ী।

বিএবি স্বীকৃত ইউটিএস টেস্টিং ল্যাবে কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে এর। বিদ্যুৎ খরচ ব্যাপক কমাতে এনেছে ইনভার্টার প্রযুক্তির স্মার্ট এসি। আর বাজারে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এসব এসি।

এক লাখ দুই হাজার বিটিইউকে (ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) বলা হয় এক টন। আমদানি করা এসিতে সঠিক বিটিইউ থাকে না। এটি সাধারণ ক্রেতার পক্ষে ধরা সম্ভব নয়। তবে ওয়ালটন দেশে তৈরি করছে বলে সঠিক বিটিইউ নিশ্চিত করছে।

ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী ইসহাক রনি জানান, স্থানীয় বাজারে যেকোনো ব্র্যান্ডের চেয়ে উচ্চ গুণগতমানের এসি উৎপাদন করছে ওয়ালটন। দীর্ঘস্থায়িত্বের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে গোল্ডেন ফিন। সম্প্রতি ওয়ালটন এসিতে সংযোজন করা হয়েছে আয়নাইজার প্রযুক্তি। এটি ব্যবহারে রুমের বাতাস থাকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত। সাধারণ এসির তুলনায় ওয়ালটনের ইনভার্টার এসি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ওয়ালটন এসিতে আরো ব্যবহার করা হচ্ছে গোল্ডেন কালার ফিন প্রযুক্তি। এটি এসির স্থায়িত্ব বাড়ায়।

ওয়ালটন এসির বিক্রয় বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সঠিক বিটিইউ ও উচ্চ গুণগতমানের নিশ্চয়তা, আকর্ষণীয় ডিজাইন ও আউটলুক, সাশ্রয়ী মূল্য, ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস নেটওয়ার্ক থাকায় ওয়ালটন এসি এখন গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে।

নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে ওয়ালটনের প্রকৌশলীরা বাজারে নিয়ে এসেছে মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য আইওটি বেজড স্মার্ট এসি। এটি এসিতে প্রতিদিন বা মাসিক বিল আসছে কত, ভোল্টেজ লো না হাই, কম্প্রেসার কি ওভারলোডে চলছে—এসব প্রশ্নের উত্তর দেবে। দেশের বাজারে ওয়ালটনই প্রথমবারের মতো স্মার্ট এসি নিয়ে এসেছে।

ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও পরিবেশক সেলস বিভাগের প্রধান মো. এমদাদুল হক সরকার বলেন, ‘গত বছরের মার্চের তুলনায় চলতি বছরের মার্চ মাসে বেশি এসি বিক্রি হয়েছে। এটি চলতি মাসে এসি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে গেছে।’ তাঁর মতে, বিক্রি বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রাখছে নতুন মডেলের পরিবেশবান্ধব আয়নাইজার ও ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি। স্থানীয় বাজারে এসব এসি ব্যাপক গ্রাহকপ্রিয়তা পাচ্ছে।

বর্তমানে দেশের আবহাওয়া উপযোগী অসংখ্য মডেলের এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। ইন্টারনেটভিত্তিক মুঠোফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য ও ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির ১৮ হাজার বিটিইউ (দেড় টন) স্মার্ট এসির দাম ৬৫ হাজার টাকা। ইনভার্টার প্রযুক্তির ১৮ হাজার বিটিইউ ওয়ালটন এসি পাওয়া যাচ্ছে ৬৩ হাজার ৫০০ টাকায়। ওয়ালটনের এসব এসি সাধারণ প্রযুক্তির তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। পাশাপাশি ১৮ হাজার ও ২৪ হাজার বিটিইউর আয়নাইজার প্রযুক্তির এসি পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ৪৯ হাজার ৯০০ ও ৫৬ হাজার ৯০০ টাকায়। ১৭ হাজার ২০০ বিটিইউ ওয়ালটন এসি মিলছে ৪৩ হাজার ৯০০ টাকায়। আর এক লাখ দুই হাজার (এক টন) বিটিইউর ওয়ালটন এসি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ হাজার ৯০০ টাকায়।

ওয়ালটন এসির কম্প্রেসারে রয়েছে সর্বোচ্চ আট বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি। আরো রয়েছে তিন বছর পর্যন্ত ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা। দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরসহ বর্তমানে ৪৩টি জেলা শহরে রয়েছে আইএসও সনদপ্রাপ্ত ওয়ালটন সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম কর্তৃক পরিচালিত সার্ভিস সেন্টার।