ব্যাংকের একত্রীকরণ নীতিমালা আগামী বছরেই : অর্থমন্ত্রী
একটি ব্যাংকের সঙ্গে আরেকটি ব্যাংককে একত্রীকরণ বা মার্জার করতেই হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, আগামী বছরের মধ্যেই ব্যাংকিং খাতে মার্জার নীতিমালা করা হবে।
আজ শনিবার ‘রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের অবস্থা পর্যালোচনা, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায়’ শীর্ষক এক সেমিনারে অর্থমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ওই সেমিনারে মন্ত্রী বলেন, ‘একটা যখন মার্জারের প্রচেষ্টা হয়, সেটাকে কীভাবে গাইড (দিকনির্দেশনা) করা যেতে পারে, সে ব্যাপারেও আমাদের একটা আইনের কাঠামো দরকার। আমরা বিবেচনার মধ্যে যাতে সেটা দিতে পারি, সো দ্যাট মার্জারস ক্যান স্টার্ট (যাতে মার্জার শুরু হতে পারে)… ।’
সেমিনারে অর্থ মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সরকারি ব্যাংক, বিমা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, অর্থনীতি সমিতি, বিএসইসিসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা তাঁদের মূল্যায়ন তুলে ধরেন।
বক্তাদের ভাষ্য, সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে দিনেদুপুরে ডাকাতি হয়েছে। তার পরও আইনি ঝামেলার কারণে সেই অর্থ আদায় সম্ভব হচ্ছে না।
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ বলেন, ‘এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক), আচ্ছা একজন এমডি নিয়োগ দেবেন, একটা ব্যাংক, একটা আস্থার জায়গা। আই ক্যান ডিপেন্ড অন ইউ (আমি আপনার ওপর আস্থা রাখতে পারি)। তার মানে এটা আস্থার জায়গা। সেইখানে একজন এমডি নিয়োগ দেবেন, বাজারে তাঁর বদনাম।’
‘আবার সেই বদনাম যদি আপনারা না-ও জানেন…তাঁর সঙ্গে ছয় মাস চাকরি করলে আপনি বুঝতে পারেন যে, এই এমডি সুবিধার না। কিক হিম আউট (তাঁকে বের করে দিন), রিমুভ হিম (তাঁকে সরিয়ে দিন)। সে সাত-আট বছর ক্যামনে করে থাকে।’
অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘ইউরোপে-আমেরিকায়ও তো বেইল আউটের (পড়তি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা অর্থনীতি আর্থিক সহায়তা) ফান্ড দেয়। …ইট ইজ অ্যা লোন (এটা একধরনের ঋণ)। কড়া নিয়মে ঋণ হিসেবে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে তারা এটাকে আদায় করে নেয়।’
‘কিন্তু আমাদের এখানে সেই ঋণ নয়, আমাদের এখানে গিভ আউট (দিয়ে দেওয়া)।’