জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি তাঁর জীবনের ১১তম বাজেট উপস্থাপন করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে টানা নবমবারের মতো বাজেট দিচ্ছেন সাবেক এই ঝানু আমলা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এবারের বাজেটের আকার চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকার।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের এক বিশেষ সভায় এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তিনি চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটও পেশ করবেন।

বক্তব্যের শুরুতেই অর্থমন্ত্রী ১১টি বাজেট দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়ার জন্য আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায় করেন। তার পরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, চার জাতীয় নেতাসহ একাত্তরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিত নারীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এবারের বাজেটের প্রতিপাদ্য হিসেবে একটি স্লোগান দেওয়া হয়েছে। সেটি হচ্ছে ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের’। এর আগে আওয়ামী লীগের প্রথম মেয়াদে টানা পাঁচবার এবং দ্বিতীয় মেয়াদে টানা চারবার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। সামরিক শাসক সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দুটি বাজেট দিয়েছিলেন মুহিত।

এবারের রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ আসবে মূল্য সংযোজন কর (মূসক বা ভ্যাট) থেকে। যদিও এ নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। এ বাজেটে কার্যকর হতে যাচ্ছে নতুন ভ্যাট আইন। বহুল আলোচিত এই আইনে ভ্যাটের হার ১৫ শতাংশ নির্ধারিত হবে। বাজেটে ভ্যাট থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে ৮৭ হাজার ৮৮৭ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের মূল লক্ষ্যমাত্রা থেকে ১৫ হাজার ১২৩ কোটি টাকা বেশি।

আগামী অর্থ বছরের বাজেটের আকার চলতি বাজেটের চেয়ে প্রায় ২৬ ভাগ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেট তিন লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেট তিন লাখ ১৭ হাজার ১৭৮ কোটি টাকা। এই টাকা থেকে ৮৪ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে আগামী অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী।  

এবারের বাজেটের ঘাটতির পরিমাণ এক লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। ৪৬তম এই বাজেট পাস হবে ২৯ জুন।