ডিএসইতে ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন
দেশের দুই শেয়ার বাজারে লেনদেনের পাশাপাশি সূচকেও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। আজ সোমবার দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ১৮০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। যা গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ডিএসই সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ৭১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার ডিএসইতে শেয়ার লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ১৮০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। যা আগের দিনের তুলনায় ৫১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশি। গতকাল রোববার এক হাজার ৬৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
আজ ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৮টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৯টির, কমেছে ১৪২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির শেয়ার দর।
এদিকে ডিএসইএক্স সূচক ৬৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৬৯ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ১১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৯৭ পয়েন্টে।
ডিএসই কার্যালয়ের সামনে নজরুল ইসলাম নামে এক বিনিয়োগকারী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এখন বাজার যে অবস্থায় আছে তাতে যেকোনো সময় বাজার পড়ে যেতে পারে। আর এতে যারা না বুঝে বিনিয়োগ করবে তারা লোকসানের মুখে পড়তে পারে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ১১৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সূচক ২১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৬৯ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬৯টি কোম্পানির ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩০টির, কমেছে ১১৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এখন বাজারে সতর্ক হয়ে বিনিয়োগ করা উচিত। নয়তো লোকসানের পড়ার সম্ভাবনা আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘বাজারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ে যাঁরা আছেন তাঁদের এমন কথা বা বক্তব্য দেওয়া উচিত নয় যার কারণে বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্তিতে পড়ে।’