হিলি ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
অবশেষে দিনাজপুরের হিলি ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ভারত থেকে আমদানীকৃত পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক হিলি বন্দরের পানামা পোর্টে প্রবেশ করে। ১৯টি ট্রাকে মোট ৪২৮ টন পেঁয়াজ এসেছে।
বন্দরের ব্যবসায়ী সেলিম উদ্দীন ও মোবারক হোসেন জানান, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর অভ্যন্তরীণ সংকট দেখিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এ কারণে ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে পড়লে দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রতি কেজি ২৬০ টাকার ওপরেও বেচাকেনা হয়। এ অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার দ্রুত মিয়ানমার, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে।
হিলি বন্দরের অন্য ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি মৌসুমে ভারতে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন ভালো হওয়ায় সে দেশের সরকার গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পেঁয়াজ রপ্তানিতে বাংলাদেশে থাকা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। গত ২ মার্চ এ-সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করা হলে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি চেয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে আবেদন করেন। গত শনিবার অনুমতি পাওয়ার পর রোববার বিকেল থেকে পুনরায় শুরু হয় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি।
রোববার বিকেলে তিনটি ট্রাকে ৯১ টন পেঁয়াজ ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। এর মধ্যে খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজ ৬৩ টন এবং মাহি অ্যান্ড মাহিবি এন্টারপ্রাইজ ২৮ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। প্রতি টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ৩০৫ ডলারে।
খুলনার হামিদ এন্টারপ্রাইজের মালিক আবদুল হামিদ জানান, দেশে এবার প্রচুর পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। দামও অনেক কম। ছোট একটি এলসি দিয়েছি। যার বিপরীতে রোববার ৬৩ টন পেঁয়াজ দেশে ঢুকেছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার ভারত থেকে ৯১ টন পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন জানান, আমদানীকৃত পেঁয়াজ দ্রুত ছাড় করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শূন্য শুল্ক দিয়ে এই পেঁয়াজ বেনাপোল বন্দর দিয়ে খালাস দেওয়া হয়েছে। বেনাপোল বন্দরের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ৫৩ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে।