স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার সুযোগ চান ব্যবসায়ীরা
লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শপিং মল, মার্কেট ও দোকানপাট খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, দৈনিক অন্তত চার ঘণ্টা করে হলেও দোকানপাট ও মার্কেট খোলা রাখা হোক।
আগামীকাল সোমবার ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত শপিং মলসহ অন্যান্য দোকানপাট বন্ধসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে আজ রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। করোনাভাইরাসজনিত (কোভিড-১৯) সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় সরকার এ লকডাউন ঘোষণা করে।
সরকারের এ ঘোষণার পর রাজধানীর নিউমার্কেট, চাঁদনী চক, গাউছিয়া, চন্দ্রিমা, নীলক্ষেত ও উর্দু রোড এলাকার ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ সমাবেশ, মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন।
নিউমার্কেটের প্রধান গেইটের সামনে মিরপুর রোডে অবস্থান নিয়ে আজ দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশকালে নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আমরা এর বিরুদ্ধে নই। কিন্তু সরকার কোনো কোনো খাতে ছাড় দিয়েছে। শুধু শপিংমল, মার্কেট ও দোকানপাটগুলো শতভাগ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে এটা করা অন্যায়। দৈনিক অন্তত চার ঘন্টার জন্য হলেও মার্কেট খোলা রাখলে দোকানের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া যেত।
ব্যবসায়ীরা বলেন, তাঁরা সারা বছর ঈদের বেচাকেনার দিকে তাকিয়ে থাকেন। এ সময় এসে মার্কেট বন্ধের ঘোষণা তাদের মাথায় বাড়ি দেওয়ার সমান।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু সরকার থেকে বলা হয়েছে অনলাইনে বেচাকেনার জন্য। অনলাইনে বিক্রি করতে হলেও তো দোকান খুলতে হবে। ব্যবসায়ীদের রোজার ঈদটা সারা বছরের ব্যবসা। এ মুহূর্তে এ সিদ্ধান্ত হলে না খেয়ে মরতে হবে।’
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার রাখার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে কয়েকদিন আন্দোলন করছেন উর্দু রোড অভ্যন্তরীণ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। আজ রোববার তাঁরা মানববন্ধন করেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, গত বছরের লকডাউনের কারণে তাঁরা সবাই বিপুল পরিমাণ টাকা দেনায় জর্জরিত হয়ে আছেন। এবার লকডাউনে দোকানপাট বন্ধ রাখতে হলে তাঁদের আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।
উর্দু রোডের ব্যবসায়ীরা বলেন, তাঁরা দেশীয় তৈরি পোশাকের পাইকারি ব্যবসা করেন। সারা দেশের শপিং মল ও দোকানের খুচরা ব্যবসায়ীরা তাদের এখান থেকে পণ্য নিয়ে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করেন। তাঁদের সারা বছরের এই ব্যবসা মূলত রোজার আগে শুরু হয়। এই সময়ে লকডাউন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাঁরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রেখে ব্যবসা করতে পারেন—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই সুযোগটাই চান।