দেশের বাজারে এসেছে ‘চ্যাম্পিয়ন লুব্রিকেন্ট’
দেশের বাজারে এসেছে ইউরোপের ‘চ্যাম্পিয়ন লুব্রিকেন্ট’। বেলজিয়ামের তৈরি এই চ্যাম্পিয়ন লুব্রিকেন্ট দেশের বাজারে বাজারজাত করছে মোস্তফা গ্রুপ। রাজধানীর ধানমণ্ডির একটি হোটেলে গতকাল শনিবার জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে এবং কেক কেটে এর উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চ্যাম্পিয়ন লুব্রিকেন্ট-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যারিস্টার মাশফিকুর রহমান। অনুষ্ঠানে দেশের জনপ্রিয় বাইকার, ব্লগার এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকার লুব্রিকেন্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, মোস্তফা মটরস ২০১৯ সালে নিজেদের সৌদিয়া পরিবহণের জন্য লুব্রিকেন্ট হিসেবে বেলজিয়ামের তৈরি চ্যাম্পিয়ন লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করছে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে বাজারজাত করা শুরু করে তারা। মোস্তফা গ্রুপ বাংলাদেশের একটি লিডিং গ্রুপ; যা ৫৬ বছর ধরে সারা দেশব্যাপী কাস্টমারদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। মোস্তফা গ্রুপ ভোজ্য তেল, চামড়া, স্টিল, বিলেট, কক শিট, পেপার, লবণ, যাত্রী পরিবহণ সেবা, অর্গানিক চিংড়ি, ট্যাংক টার্মিনাল, টেক্সটাইল, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এ ছাড়া গম, ভুট্টা, ডাল, মসলা এবং লুব্রিকেন্ট তেল আমদানি করছে মোস্তফা গ্রুপ।
অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মাশফিকুর রহমান বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন লুব্রিকেন্ট ইউরোপের একটি পণ্য হলেও মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়ার দেশগুলোর পরিবেশ, আবহাওয়া, তাপমাত্রার উপযোগী হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। ফলে মেশিন নষ্ট বা মেশিনের ক্ষতি হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। চ্যাম্পিয়ন লুব্রিকেন্টের আরও একটি বিশেষ গুণ হলো—যে কোনো বাইকার তাঁর বাইকের মডেল নম্বর ও সিসি দিয়ে ওয়েবসাইটে সার্চ করে দেখতে পারবেন যে তাঁর বাইকের জন্য চ্যাম্পিয়ন লুব্রিকেন্টের কোন পণ্যটি ব্যবহার-উপযোগী। আমরা আপনাদের একটি ভালো লুব্রিকেন্ট সুলভ মূল্যে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’
ব্যবসায়ী ও বাইকারদের দাবির প্রেক্ষিতে চ্যাম্পিয়ন লুব্রিকেন্টের দাম কমানোর আশ্বাস দেন ব্যারিস্টার মাশফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মোস্তফা গ্রুপের বড় একটি গুণ হলো—কোনো পণ্য প্রথমে নিজেরা ব্যবহার করা। ভালো হলে পরে বাজারজাত করা। আমরা ২০১৭ সাল থেকে চ্যাম্পিয়ন লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করছি। চ্যাম্পিয়ন লুব্রিকেন্ট ১২ হাজার কিলোমিটারের পর আমরা পরিবর্তন করছি। এতে ইঞ্জিন লাইফ, পারফরমেন্স খুবই সন্তোষজনক। লুব্রিকেন্টের কোয়ালিটিও ভালো।’
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বাইকার ও লুব্রিকেন্ট ব্যবসায়ী ইউনুস মটরস, হায়দার মটরস, ভাই ভাই মটরস, রাশেদ মটরস-এর প্রতিনিধিরা চ্যাম্পিয়ন লুব্রিকেন্ট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে নৈশভোজ ছাড়াও শতাধিক বাইকারকে ফুল সিনথেটিক ইঞ্জিন অয়েলসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় ফেসবুক পেজ বাইকার বিডি, বিডি বাইকার টাইগারস, দেশি বাইকার, হর্নেটিয়ান ক্লাব, বাংলাদেশ মেট্রো রাইডার, এফ জেড বা এফ আই ক্লাব, ফেজার বিটু ক্লাব, কেপি আর রাইডারস, কেবি রাইডারস, টিম এবিএস, বাইক অ্যান্ড বাইকারস-এর অ্যাডমিনরা উপস্থিত ছিলেন।