গুটিকয়েক ব্যক্তির হাতে ব্যাংক খাত জিম্মি : সিপিডি
পাহাড়সম খেলাপি ঋণসহ নানা অনিয়ম-অব্যবস্থাপনায়, বিশৃঙ্খলায় দেশের ব্যাংকিং খাত। সঠিকভাবে বিদ্যমান সমস্যাগুলো খুঁজে বের করার পাশাপাশি খাতটিকে শৃঙ্খলায় ফেরানোর করণীয় ঠিক করতে একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠনের তাগিদ এসেছে বারবার। অবশেষে সরকার সেই ব্যাংকিং কমিশন গঠন করছে বলেই আভাস মিলছে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ-সিপিডি বলছে, গুটিকয়েক ব্যক্তির হাতে দেশের ব্যাংকিং খাত জিম্মি, আর স্বাধীনভাবে কাজ করছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। এই খাতের সমস্যা উদঘাটন এবং সমাধানের উপায় বের করতে, যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন প্রয়োজন। আজ শনিবার রাজধানীতে ব্যাংকিং কমিশন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানায় গবেষণা সংস্থাটি।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারের এই উদ্যোগকে অগ্রিম সাধুবাদ জানায় সিপিডি। তারা বলছে, সাময়িক মেয়াদের জন্য গঠিত হতে যাওয়া এই ব্যাংকিং কমিশনের সদস্য নির্বাচন করতে হবে যোগ্য ও দক্ষতার ভিত্তিতে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, রাজনৈতিকভাবে একটি সংকল্প ও অঙ্গীকার থাকতে হবে, এটাই হবে কমিশন গঠনের পূর্বশর্ত। সিপিডি কমিশন গঠনের পুরো প্রক্রিয়াকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির এই নির্বাহী পরিচালক।
ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা নিশ্চিতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে, তাকে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা, পরিবেশ এবং সুযোগ দিতে হবে।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘গুটিকয় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের হাতে পুরো ব্যাংকিং সেক্টর জিম্মি হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তো কার্যত স্বাধীনভাবে কাজ করছে না, এইটাই তো সমস্যা। আস্থার সংকট, স্বচ্ছতার সংকট ও বিশ্বস্ততার সংকট কাটিয়ে উঠে কমিশনকে কাজ করতে হবে। এটার জন্য সর্বোপরি প্রয়োজন পড়বে রাজনৈতিক নেতৃত্বের আলোকিত সমর্থন।’
এ ছাড়া ব্যাংকিং কমিশন যে সুপারিশমালা দেবে, তা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট পথনির্দেশনা রাখারও তাগিদ দিয়েছে সিপিডি।