কমছে ব্রয়লার মুরগির দাম, চড়া সবজির বাজার
ঈদুল আজহা সামনে রেখে কমতে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তবে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের সবজি। ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে মাছের বাজার।
আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ঈদুল আজহার আগে চাহিদা কমায় কয়েক দিন ধরেই ব্রয়লার মুরগির দাম কমছে।
টিসিবি জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ দাম কমে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে স্থানভেদে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে সবজির বাজার রয়েছে ঊর্ধ্বমুখী।
কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গরু ও খাসির মাংস সবার ঘরে ঘরে থাকবে। এতে করে চাহিদা কম থাকবে মুরগির মাংসের। ঈদের এক সপ্তাহ আগেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মুরগির বাজারে। দাম কমতে শুরু করেছে ব্রয়লার ও দেশি মুরগির। তবে বন্যাসহ নানা কারণে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে সবজির বাজার।
সবজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগ সবজির কেজি এখন ৫০ টাকার ওপরে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো। পাকা টমেটোর কেজি ১০০ থেকে ১৩০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। টমেটোর পাশাপাশি ১০০ টাকা ছুঁয়েছে গাজর। এ সবজিটির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১১০ টাকায়।
শুধু টমেটো ও গাজর নয়, বেগুন, পটোল, ঝিঙা, উস্তা, বরবটি, ঢেঁড়স, কচুরলতি—কোনো কিছুই এখন কম দামে পাওয়া যাচ্ছে না। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে করলা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, চিচিংগার কেজি ৫০ থেকে ৬০, পেঁপের কেজি ৪০ থেকে ৫০, পটোল ৪০ থেকে ৫০, ঝিঙা ৫০ থেকে ৬০, কচুরলতি ৪০ থেকে ৬০, কচুরমুখি ৬০ থেকে ৭০, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০, ঢেঁড়স ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি ৩০ থেকে ৩৬ টাকা।
সবজির পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। বাজারভেদে কাঁচামরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দামও চড়া। ডিমের ডজন ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শফিক নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘সবজির বাজারে আগুন লেগেছে। সবজি ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। কাঁচামরিচের পোয়া ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মহামারি করোনাভাইরাসের মধ্যে সবজির এমন দাম আমাদের মতো নিম্ন-মধ্যবিত্তদের বেশ ভোগাচ্ছে।’
যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা বাবুল মিয়া বলেন, ‘আড়তে এখন সবজি কম আসছে। বন্যায় সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অবস্থা যা, তাতে সহসা সবজির দাম কমার সম্ভাবনা খুব কম।’
মাছের বাজারেও স্বস্তি নেই। তবে অন্য মাছের তুলনায় কিছুটা কম দামে পাওয়া যাচ্ছে পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া। এর মধ্যে পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ১৭০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়। পাবদা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, কাঁচকি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, সরপুঁটি ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, দেশি পুঁটি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭৫০ টাকা, শিং মাছ ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, চিংড়ি ৪০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।