আগে টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজ ছাড়তে পারে ভারত
গত রোববারের আগে টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজের চালান আজ বুধবার থেকে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে। ফলে পেঁয়াজ আমদানি শুরুর সম্ভাবনা দেখছেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকেরা।
গত সোমবার ভারত সরকার তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকটের কারণে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে হিলি স্থলবন্দরের ভারত অংশে পেঁয়াজবোঝাই ২৫০ থেকে ৩০০ ভারতীয় ট্রাক আটকা পড়ে। ভারত থেকে দুদিন পেঁয়াজ আমদানি না হওয়ায় বন্দরের বাজারগুলোতে দামে বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। এতে করে ৪০ টাকা কেজির পেঁয়াজ এক লাফে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় কেনাবেচা হয়।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ ভারতের বালুরঘাটের রপ্তানিকারক রামনাথ সাহার বরাত দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জানান, গত রোববারের আগে যেসব পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য সে দেশের সরকার অনুমতি দিয়েছিল, সেসব পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, বুধবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ ঢোকার সম্ভাবনা রয়েছে।
হারুন উর রশিদ আরো জানান, এটা ভারতের রপ্তানিকারকদের বক্তব্য। কিন্তু এখনো তারা কোনো সরকারি নির্দেশনা পাননি বলে জানিয়েছেন।
এদিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বেনাপোলের ওপারে পেট্রাপোল বন্দরে পেঁয়াজবোঝাই ৪২টি ওয়াগানযুক্ত তিনটি রেলের র্যাক ও পেঁয়াজবোঝাই ১৫০টি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আটকে আছে।
ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য শাখার মহাপরিচালক অমিত যাদপ স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে বলা হয়, ভারতে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছে। তবে এলসি মূল্য ৭৫০ মার্কিন ডলারে পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে। ৩০০ ডলারে এলসি করা যেসব পেঁয়াজের গাড়ি পেট্রাপোল বন্দরে আটকে আছে, সেগুলো পুনরায় এলসি করে ৭৫০ ডলার করা হলে আটকে থাকা পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করা যাবে।