২৬ হাজার টন ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির আবেদন
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর থেকে (ইমপোর্ট পারমিট-আইপি) নতুন করে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আবেদন শুরু হয়েছে। সর্বশেষ আজ রোববার পর্যন্ত দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা প্রায় ২৬ হাজার টন আমদানির জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে এই আবেদন করেছেন। আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে অনুমতি দেওয়া শুরু হতে পারে।
প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ সংকট দেখিয়ে গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় ভারত। এর পর থেকে হু হু করে বাড়তে থাকে ভারতীয়, দেশিসহ সব ধরনের পেঁয়াজের দাম।
এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারেন্টাইন প্যাথলজিস্ট মাহমুদুল হাসান জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্দরের আমদানিকারকরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য নতুন করে (ইমপোর্ট পারমিট) অনলাইনে আবেদন শুরু করেছেন। আজ রোববার পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ২৬ হাজার টনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আমদানি করার জন্য অনুমতিপত্র দেওয়া হয়নি। খুব শিগগির ঢাকা থেকে এই অনুমতিপত্র (আইপি) ইস্যু করা হবে। গত পাঁচ মাস ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি দেওয়া বন্ধ ছিল।
বন্দরের প্রসিদ্ধ পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ‘আমি কাল সোমবার নিজেই ভারতের মহারাষ্ট্রে গিয়ে পেঁয়াজের বাস্তব প্রেক্ষাপট দেখে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আবেদন করব।’ তবে তিনি জানান, দেশে পেঁয়াজ আমদানি করে আনতে এক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এই পর্যন্ত ভোক্তাদের অপেক্ষা করতে হতে পারে।
আরেক পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন বলেন, ‘ভারত পাঁচ মাস ধরে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রাখে। এর ফলে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠায় দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আশার খবর হচ্ছে, ভারত গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। আমরা কয়েক দিনের মধ্যেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করতে পারব। এরপর বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে।’
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে—এমন খবরে হিলি স্থলবন্দরের হাটবাজারে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্য প্রতি কেজিতে ২৫-৩০ টাকা কমে সব জায়গায় বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়।