‘সবজি ওহন বড়লোগ গো খাওন’
‘সবজি ওহন বড়লোগ গো খাওন।’ এভাবে আক্ষেপের সুরে কথাগুলো বলছিলেন সম্পা বেগম। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে আজ শুক্রবার পাইকারি দামে মাছ ও সবজি কিনতে গিয়েছিলেন তিনি। গিয়েই হতবাক। সবজির দাম বেশ চড়া। প্রতিটি সবজির দাম নাগালের বাইরে।
সম্পা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আগে মানুষের বাড়িতে কাজ করতাম। এখন কাজ নেই। অনেকে মাঝে মাঝে ছুটা (চুক্তিতে) কাজের জন্য নেয়। সেই থেকে কিছু ট্যাহা পাই। কয়েকজনে মিলা যাত্রাবাড়ীতে পাল্লা (৫ কেজি) হিসাবে তরকারি (সবজি) কিনে ভাগ করি। কিন্তু আইজকা আইয়া দেহি, হেউ পারুম না। তাই সবজি বড় লোকগো খাওন।’
সম্পার কথার ভিত্তিতে বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, বাজারে সবচেয়ে দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে টমেটো। টমেটো প্রতি কেজি আকারভেদে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গাজর, বেগুন ও বরবটি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ক্রেতা রুবেল বলেন, ‘সপ্তাহের একদিন বাজার করি। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। চাকরি চলে যাওয়ায় বিকল্প আয়ের মাধ্যমে সংসার চালাই। কিন্তু বাজারে এসে দেখি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা।’ তিনি বলেন, ‘বাজারে সবজির ব্যাপক দাম। মাছ-মাংস তো ছুঁয়ে দেখাও যায় না। বাসায় যে আলুভর্তা দিয়ে ভাত খাব, সেই আলুরও দাম বাড়তি। কোথায় যাব আমরা?’ বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
এদিকে যাত্রাবাড়ী আড়তের বিক্রেতা মাকসুদ বলেন, ‘এখন টমেটো ও গাজরের মৌসুম শেষ। আগের কিছু মজুদ করা মাল বিক্রি হচ্ছে, তাই দাম বেশি।’ তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া বেগুন চাষ হলেও সরবরাহ কম। বৃষ্টিতে অনেক ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে বেগুনের দামও অনেক বেশি।’
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিংগা ৫০ থেকে ৬০, পেঁপে ৪০ থেকে ৫০, পটোল ৩০ থেকে ৫০, করলা ৬০ থেকে ৭০, ঝিঙে ৫০ থেকে ৬০, কচুরলতি ৪০ থেকে ৬০, কচুরমুখি ৬০ থেকে ৭০, কাঁকরোল ৫০ থেকে ৬০, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৫০ ও আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি।