প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও নাশকতার অভিযোগে রমনা থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন আবেদন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ জামিন আবেদন করা হয়।

মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মেজবাহ এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলায় তাদের জামিনের আবেদন করা হলে, বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেছি। আদালত জামিনের আবেদন আংশিক শুনানি গ্রহণ করেছেন। দুপুরের পর এ বিষয়ে আবারও শুনানি হবে। আশা করছি আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করবেন।’

নথি থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরুর আগেই কাকরাইলে দুপুর থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বিজয়নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বেলা ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এই সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। আহত হন পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এ ছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হন।

এই ঘটনার পর গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। অপরদিকে, গত ২ নভেম্বর রাত ১টার দিকে গুলশানের একটি বাসা থেকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আটক করে ডিবি।