ইকবাল হোসেনের চিকিৎসায় প্রয়োজন ৮ লাখ টাকা
চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক ছাত্র প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসেন। নোয়াখালীর সেনবাগ থানার বাসিন্দা ইকবাল। এক সময় সুখের সংসার ছিল ইকবালের। চাকরি করে ভালোভাবে চলছিল ইকবালের সংসার।
দুবাইতে আল হলি গ্রুপে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি। করোনার থাবায় ২০২০ সালে হঠাৎ দেওলিয়া হয়ে যায় কোম্পানি। বকেয়া বেতন, দীর্ঘ বছরের কোম্পানিতে পাওনাসহ প্রায় ৩০ লাখ টাকা পাওনা ছিলেন। কিন্তু সব হারিয়ে শূণ্য হাতে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে দেশে ফিরেন ২০২১ সালে।
দেশে এসে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর পূর্ব থেকে ডায়াবেটিস শরীরকে যেন চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলে। আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় দেড় মাস হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি দেশের রিয়েল স্টেট কোম্পানি স্পেক্টাতে যোগদান করেন।
চাকরির আট মাসের মাথায় আগস্ট মাসে ইকবাল হোসেন হঠাৎ করেই রেটিনা সমস্যায় দুই চোখের দৃষ্টি শক্তি হারিয়ে অন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে চলাফেরা বন্ধ হয়ে চাকরি চলে যায়। চোখের চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া দরকার। কিন্তু ক্রমেই শরীরের আরও রোগ বাধঁতে থাকে। চোখের চিকিৎসা চলাকালীন গেল ২৩ সেপ্টেম্বর ইকবালের কিডনি ও ফুসফুসের সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে।
রাজধানীর মগবাজার ইনসাফ আল বারাকা কিডনি হাসপাতালে আইসিওতে ডায়ালাইসিস চলছে ইকবালের। বর্তমানে হাসপাতালটির অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হকের অধীনে চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে সব কিছু হারিয়ে বেঁচে থাকার জন্য মানবিক সহায়তা চেয়েছেন ইকবাল। ভাই, বোন, বন্ধু বান্ধবদের আর্থিক সাহায্যে চিকিৎসা এতদিন চালিয়ে গেলেও এখন টেনে নিতে পারছেনা। চিকিৎসা চালিয়ে নিতে প্রয়োজন আট লাখ টাকা।
এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা এই পরিবারটির পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। বর্তমানে চিকিৎসা চালিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রীবর্গ, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও দেশের দানশীল মানুষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ইকবাল হোসেন।
ইকবাল হোসেনেকে সহযোগিতা করতে চাইলে
অ্যাকাউন্ট নাম্বার : ১০১৭৭০১৩৮৯০৩১ সেভিংস, আইএফআইসি ব্যাংক, কারওয়ান বাজার শাখা, বাংলাদেশ।
বিকাশ নাম্বার ও নগদ : ০১৮৭৩২১৭৮৩৯।