বখাটেরা ভেঙে দিল কিশোরীর হাত, জেএসসি পরীক্ষা অনিশ্চিত
পাবনায় যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় এক জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার্থীর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার পাবনার চিনাখড়া চরজোড়পুকুরিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর মাকেও আঘাত করা হয়।
অভিযুক্ত দুই যুবকের নাম রাসেল মিয়া ও টিপু। তাঁরা দুজনই চিনাখড়া চরজোড়পুকুরিয়ার উত্তরচর গ্রামের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী জানান, ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই রাসেল ও টিপু তাকে উত্ত্যক্ত করত। এর প্রতিবাদ করায় গত মঙ্গলবার রাসেল ও টিপু তাকে হাতুড়ি ও রড দিয়ে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরীকে বাঁচাতে তার মা এগিয়ে গেলে তাঁকেও হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে পেটান ওই দুই যুবক। এ সময় মা ও মেয়ে দুজনই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে গ্রামবাসী তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটানোর কারণে ওই কিশোরীর হাত ভেঙে গেছে এবং তার মা গুরুতর আহত হয়েছেন।
এ ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না এলাকাবাসী। রাসেল ও টিপুকে আইনের আওতায় নিয়ে প্রশাসনের কাছে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তাঁরা।
এলাকাবাসী আরো জানান, ঘটনার দুদিন হয়ে গেলেও আসামিদের এখনো আটক করেনি পুলিশ। বখাটেরা আশপাশ দিয়েই ঘোরাঘুরি করছে।
এ ঘটনায় পুলিশ এখনো মামলা গ্রহণ করেনি বলে জানান ভুক্তভোগী কিশোরীর মা ও বাবা।
স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোলেমান মিয়া ওই কিশোরীকে দেখতে গিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, ‘ভাই, এভাবে মেয়েটাকে মেরে তার হাত ভেঙে দিল। মেয়েটি এখন জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তার বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে গেল।’
ঘটনাটি নিয়ে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুদ্দোজার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে গেলে ‘ভাই পরে কথা বলব, আমি পরে দেখছি’ বলে ফোন কেটে দেন তিনি।