সাতক্ষীরার চারটি উপজেলা পরিষদের ১৫ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তালা ও আশাশুনি উপজেলায় নয়টি পদের জন্য লড়বেন ১৫ জন নারী। সীমানা জটিলতার কারণে শ্যামনগর উপজেলায় এই নির্বাচন হচ্ছে না। 

জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার ছয় উপজেলায় ৩০ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরের পাঁচটি আসনের বিপরীতে পাঁচজন, তালায় পাঁচটির বিপরীতে ১০ জন, কলারোয়ায় চারটির বিপরীতে চারজন, আশাশুনিতে চারটির বিপরীতে পাঁচজন, কালীগঞ্জে চারটির বিপরীতে চারজন এবং দেবহাটায় দুটি আসনের বিপরীতে দুজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। 

আবুল হোসেন জানান, ছয়টির মধ্যে কেবল তালা ও আশাশুনি উপজেলায় ভোট গ্রহণ করা হবে। এসব উপজেলায় আসনের বিপরীতে বেশি সংখ্যক প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। অপর চারটির প্রতিটি আসনের বিপরীতে একজন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করায় বিধি মোতাবেক তাঁদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হবে।  

রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, জেলার প্রতি তিনটি ইউনিয়নকে একটি করে আসন ধরা হয়েছে। এ ছাড়া একটি পৌরসভা একটি ইউনিয়নের সমান বলে বিবেচিত হবে। এই হিসাবে সাতক্ষীরার ৭৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভাসহ ৮০টির মধ্যে শ্যামনগরের ১২টি ইউনিয়ন বাদে ৬৮টি আসনকে নির্বাচনের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।   

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরো জানান, ছয় উপজেলার ২৩টি আসনে মোট ভোটার ২০৪ জন। তাঁদের মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে ৪৫, তালায় ৩৬, কলারোয়ায় ৩৯, আশাশুনিতে ৩৩, কালীগঞ্জে ৩৬ ও দেবহাটায় ১৫ জন। আগামী ১৫ জুন ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।