বৈরী আবহাওয়ার কারণে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলার সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় সি-ট্রাক, ট্রলার, ছোট-বড় নৌকাসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হাতিয়া।

মেঘনা নদীর ও সমুদ্রের জোয়ারের পানির কারণে হাতিয়ার আশপাশের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

স্থানীয় ট্রলার মালিক সমিতির নেতা ফাহিম আহমেদ জানান, ক্রমেই পানির উচ্চতা ও বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। ফলে বড় ধরনের দুর্যোগের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দু-তিন ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারণে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।