পাবনার আর-আতাইকুলা ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন
পাবনার আর-আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন ব্যাপক অনিয়ম, কারচুপি ও ভোটাদের ভোটদানে বাধা দেওয়া ও মারপিটের অভিযোগে বিএনপির প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।
সোমবার দুপুরে ভোট চলাকালে বনগ্রাম বাজারে ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় প্রার্থী সেলিম হোসেন ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
সেলিম হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থী মিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস ও তাঁর ক্যাডার বাহিনী ভোটকেন্দ্র থেকে ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদের মারপিট এবং প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বের করে দিয়েছে। সাধারণ ভোটাদের ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারা হয়েছে। প্রশাসনের সহযোগিতায় নয়টি ভোটকেন্দ্রই দখল করে নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের কাছে এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। ফলে কারচুপি ও প্রহসনের এ নির্বাচন তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
আতাইকুলা উচ্চ বিদ্যালয়, আড়িয়াডাঙ্গি বিদ্যালয়, চরতারাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, পি-তৈলকুপি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কেন্দ্রেই ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট ছিল না। বেলা ১১টার দিকে জাল ভোট দেওয়া নিয়ে আতাইকুলা কেন্দ্রে উত্তেজনা দেখা দেয়।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। পরাজয় জেনে বিএনপির প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থী ছাড়াও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
আর-আতাইকুলা ইউনিয়নে উপনির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ১০৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৪ হাজার ৮৭ জন এবং নারী ১৪ হাজার ১৬ জন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিন্নাত আরা জলি জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ইউনিয়নে এক প্লাটুন বিজিবির পাশাপাশি র্যাব, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন।
আর-আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ কোরবান আলী বিশ্বাসের মৃত্যুতে এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।