খালেদা জিয়ার দুই মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ ২৫ মে
খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দুটি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন আগামী ২৫ মে নির্ধারণ করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ আদেশ দেন।
urgentPhoto
বার কাউন্সিলের নির্বাচনে আইনজীবীরা ব্যস্ত থাকায় সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবির আবেদন করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবী মাসুদউদ্দিন আহমেদ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, নিরাপত্তার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি।
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দুটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক হারুনুর রশিদ, তিনিও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
বিশেষ আদালতে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন মামলা দুটির অন্য চার আসামি। তাঁরা হলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সাবেক কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম।
গত ৫ এপ্রিল দুর্নীতির এ দুটি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসনকে জামিন দেন বিচারক আবু আহমেদ জমাদার। এদিন খালেদা জিয়া আদালতে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই শুরু হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ। দুই মামলায় গত ২৪ ডিসেম্বর আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
চলতি বছর ২৫ ফেব্রুয়ারি মামলা দুটিতে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ছিল। তবে নিরাপত্তার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারবেন না জানিয়ে আদালতের কাছে সময়ের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। পাশাপাশি সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি করারও আবেদন জানান তাঁরা। কিন্তু সময়ের আবেদন নাকচ ও আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে দুই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক আবু আহমেদ জমাদার। এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে আদালত সেটিও নাকচ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বহাল রাখেন।
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালে জিয়া অরফানেজ ও ২০১১ সালে চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা করে দুদক। মামলায় খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ আসামি নয়জন।