শিশু ‘ধর্ষণের’ পর পুলিশকে জানাতে বাধার অভিযোগ
নড়াইলে আট বছর বয়সী এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির পরিবারের আরো অভিযোগ, এ ঘটনা পুলিশকে জানাতে চাইলে এলাকার মাতব্বররা তাতে বাধা দেন।
বিচার না পেয়ে পরিবার গতকাল মঙ্গলবার রাতে শিশুটিকে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে আজ বুধবার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে শিশুটির বক্তব্য শুনেছে।
ওই মাদ্রাসাছাত্রীর বাড়ি সদর উপজেলার জুড়ুলিয়া গ্রামে। যার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, সেই রেজাউল ওরফে রেজা মোল্যা শিশুটির প্রতিবেশী। তিনি চার সন্তানের জনক। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক আছেন।
হাসপাতালে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, গতকাল মঙ্গলবার সকালে শিশুটির দিনমজুর বাবা-মা কাজে বেরিয়ে যান। শিশুটি তখন বাড়িতে একা ছিল। এই সুযোগে রেজা মোল্যা শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির বাবা বাড়িতে উপস্থিত হলে রেজা পালিয়ে যান।
শিশুটির পরিবার ঘটনাটি এলাকার মাতব্বরদের জানায়। মাতব্বররা বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানাতে শিশুটির পরিবারকে বাধা দেয়। এ অবস্থায় শিশুটিকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
দিন কেটে গেলেও বিচার না পেয়ে গতকাল রাতেই শিশুটিকে তার স্বজনরা নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শিশুটি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অছে।
হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের জ্যেষ্ঠ সেবিকা উল্লাসিনী বৈরাগি বলেন, ‘শিশুটি সেক্সুয়াল অ্যাসাল্ট নিয়ে হাসপাতালে আসে। তার সোয়াব নিয়ে প্যাথলজিতে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এখানো আসেনি। চিকিৎসক শরীরে কোনো আঘাতের বিষয় আসে কি না সেটি দেখতে বলেছিলেন। আমরা শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি।’
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুভাষ বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা শিশুটির ধর্ষণের খবর পেয়ে হাসপাতালে এসেছি। শিশুটির সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’