সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করায় বিসমিল্লাহ পরিবহনের মালিক আব্দুস শহীদকে এক মাসের কারাদণ্ডদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সকালে আব্দুস শহীদ আদালতে উপস্থিত হলে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার সৈয়দ আমিনুল ইসলামকে ডেকে তাঁকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বেঞ্চের অপর তিন সদস্য হলের বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। 

২০১২ হবিগঞ্জের পৌরসভা এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন রোডের অ্যাডভোকেট শ্যামল কান্তি দাশের জমির সীমানা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করায় বিসমিল্লাহ পরিবহনের মালিকের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন অ্যাডভোকেট শ্যামল কান্তি দাশ। একই বছর ২৭ আগস্ট হবিগঞ্জের দায়রা জজ আদালত ওই স্থানে ভবন নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এর বিরুদ্ধে বিসমিল্লাহ গ্রুপের মালিক আব্দুস শহীদ হাইকোর্টে আপিল করলে হাইকোর্ট জজকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। 

এরপর শ্যামল কান্তি দাস হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আপিল বিভাগ নির্মাণকাজ যে অবস্থায় আছে সে অবস্থায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু আপিল বিভাগের এই আদেশ অমান্য করে বিসমিল্লাহ পরিবহনের মালিক আব্দুস শহীদ নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখলে অ্যাডভোকেট শ্যামল কান্তি দাশ তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন। আদালত এ অভিযোগ গ্রহণ করে নির্দেশ অমান্য করায় আব্দুস শহীদকে কারাগারে প্রেরণ করেন। একইসঙ্গে ওই  নির্মিত ভবন আগামী এক মাসের মধ্যে ভেঙে ফেলতে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়রকে নির্দেশ দেন। 

শুনানিতে অ্যাডভোকেট শ্যামলের পক্ষে অংশ নেন সুব্রত চৌধুরী ও জগলুল হায়দার আফ্রিক। অন্যদিকে আব্দুস শহীদের পক্ষে শুনানি করেন জয়নাল আবেদীন ও এ জে মোহাম্মদ আলী।