২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোমতীতে বাঁধ নির্মাণ ও ভরাট বন্ধের নির্দেশ
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার গোমতি নদীতে মাটি ভরাট ও বাঁধ নির্মাণ বন্ধ করতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জলাধার আইন অনুযায়ী দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী সাত দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী রেজা উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। মুরাদ নগররের বাসিন্দা মনির হোসেন, তসলিম ও ফরহাদুল আলম জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন।
এ ছাড়া গোমতী নদীতে মাটি ভরাট বন্ধ করতে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েও রুল জারি করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে পানি সম্পদ ও পরিবেশ সচিব, ওয়াপদা ও পরিবেশ বিভাগের মহাপরিচালক, গোমতী ও ওয়াপদার নির্বাহী প্রকৌশলী, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা মুরাদনগর থানার নির্বাহী কর্মকর্তা ও মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ রিটকারীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস বিশ্বাস ।
এ বিষয়ে রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, পরিবেশ আইন ১৯৯৫, জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ এবং সংবিধানের পরিবেশ ধ্বংসকারী কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসনের নাকের ডগায় দিনে দুপুরে শতবর্ষ পুরনো গোমতী নদীকে হত্যা করা হচ্ছে, আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়া হচ্ছে, অথচ স্থানীয় প্রশাসন নির্বিকার। এর আগে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুসারে মন্ত্রণালয় সার্কুলার জারি করে নদী, খাল, পুকুর, রক্ষার নির্দেশনা দেওয়া সত্ত্বেও জেলা প্রশাসন পরিবেশ রক্ষার কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা আদালতে বিষয়টি উপস্থাপনের পর আদালত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসব আদেশ দেন।