করিমগঞ্জে গৃহবধূর গায়ে আগুনের ঘটনায় মামলা
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ ইউনিয়নের উলুখলা গ্রামের গৃহবধূ পাপিয়া আক্তারের (২০) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে।
পাপিয়ার বড় ভাই মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন পাপিয়ার স্বামী আশিকুল হক, শ্বশুর আনোয়ারুল হক, শাশুড়ি পারুলা আক্তার, দেবর মাশেকুল হক ও ফুফুশ্বাশুড়ি হাওয়া বিবি। এঁদের সবাই উপজেলার উলুখলা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ এরই মধ্যে মাশেকুল হককে গ্রেপ্তার করেছে।
অন্য আসামিরা পলাতক থাকার তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলুর রহমান। তিনি জানান, ‘পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পাপিয়া আক্তার ও আশিকুল হক প্রেম করে দেড় বছর আগে বিয়ে করেন। কিন্তু আশিকুলের পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয়নি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই পাপিয়াকে মারপিট করত। এ নিয়ে গত শনিবার সকালে পাপিয়ার শ্বশুরবাড়িতে সালিস হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সালিসের আগেই শাশুড়ি-দেবরসহ কয়েকজন মিলে পাপিয়ার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় পাপিয়াকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসকরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাপিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে পাঠান। সেখানে পাপিয়ার চিকিৎসা চলছে।