৮ বছরেও চালু হয়নি নগরবাড়ী ফেরিঘাট
আট বছর ধরে বন্ধ আছে পাবনার নগরবাড়ী ফেরিঘাট। বেড়া উপজেলার একসময়ের ব্যস্ত এই ফেরিঘাটে এখন আর ব্যস্ততা নেই। বন্যা ও ফেরিস্বল্পতাকে তা বন্ধের কারণ হিসেবে দেখানো হয়।
ঘাটটি ঘিরে একটি বাণিজ্যকেন্দ্র গড়ে উঠেছিল। তৈরি হয়েছিল বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ। বঙ্গবন্ধু সেতুর চেয়ে স্বল্প খরচে ব্যবসায়ীরা নৌপথে স্বল্প খরচে মালামাল পরিবহন করতেন। দীর্ঘদিন ঘাট বন্ধ থাকায় নগরবাড়ীর বাণিজ্যকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বারবার আশ্বাস, এমনকি নৌমন্ত্রীর আশ্বাস পেয়েও ঘাট চালু না হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
২০০৭ সালের মাঝামাঝিতে বন্যার কারণে বন্ধ হয়ে যায় উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম নৌবন্দর নগরবাড়ী ফেরিঘাট। দীর্ঘ নয় মাস পর ২০০৮ সালের ২ মে ঘাটটি চালু করা হয়। কিন্তু একমাত্র ফেরি ‘কস্তুরি’ অচল হয়ে যাওয়ায় ফেরিঘাট চালুর ২৪ ঘণ্টা পর আবারো তা বন্ধ হয়ে যায়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান পাবনায় এক কর্মসূচিতে আশ্বাস দেন, নগরবাড়ী ফেরিঘাট শিগগিরই চালুর ব্যবস্থা করা হবে।
পাটুরিয়ায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ব্যবস্থাপক আশরাফ হোসেন জানান, ঘাট চালুর ব্যাপারে তাঁদের কাছে এখন পর্যন্ত নির্দেশনা আসেনি।
পরিবহন ব্যবসায়ী, বিশেষ করে ট্রাক মালিক-শ্রমিকরা স্বল্প খরচে মালামাল পরিবহনের স্বার্থে এবং বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর চাপ কমাতে নগরবাড়ী ঘাট অবিলম্বে চালু করার দাবি করেন।
পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বেড়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার আজিজুল হক আরজু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ফেরিঘাট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐতিহাসিক নগরবাড়ী তাঁর অতীতের ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলছে। গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্যকেন্দ্র এবং নদীবন্দরের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে ঘাট চালু করা দরকার।’
এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি আবুল হোসেন খান মোহন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর ঘাট চালুর পর বন্ধ করা রহস্যজনক।’ তিনি অবিলম্বে এই ঘাট আবার চালুর দাবি জানান।
স্থানীয় বণিক সমিতির সভাপতি এ এম রফিক উল্লাহ জানান, একটি মহল নগরবাড়ী ঘাট পাঁচ মাইল ভাটিতে কাজীরহাটে স্থানান্তরের জন্য ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। এই মহলের কারণেই ঘাট স্থানান্তরের নামে স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন দফায় কয়েকশ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে।