দৌলতদিয়ায় চারটি মধ্যে দুটি ঘাট বন্ধ, পারাপারে বিঘ্ন
রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় পদ্মা নদীর প্রচণ্ড ঢেউ আর স্রোতের কারণে ফেরিঘাট রক্ষা করা যাচ্ছে না। সকালে ফেরিঘাট ভালো থাকলেও দুপুরে সে ঘাট ভেঙে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ঘাটগুলোকে রক্ষায় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঘাটের অবস্থা এখন খুবই শোচনীয়। দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে চলছে এখন ভাঙা গড়ার খেলা।
ভাঙনের কারণে দীর্ঘ এক মাস পর আজ সোমবার বেলা ৩টা থেকে এক নম্বর ফেরিঘাটটি আবারো চালু করা হয়েছে।
দৌলতদিয়ার চারটি ফেরি ঘাটের মধ্যে এখন মাত্র দুটি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এর ফলে দুইশর বেশি ট্রাকসহ প্রায় ৪০০ যানবাহন এখন নদী পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে যানবাহনের চাপ।
এমন পরিস্থিতিতে এই রুটে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে বিকল্প পথ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাটের ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম জানান, নদী ভাঙন ও প্রচণ্ড স্রোতের কারণে মাঝেমধ্যে ঘাট বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। এর ফলে স্বাভাবিক যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। অচল দুই নম্বর ফেরি ঘাটটি সচল করার জন্য পন্টুন স্থানান্তর করে এক নম্বর ঘাটে সংযোজন করে বন্ধ এক নম্বর ঘাটটি আজ বিকেলে চালু করা হয়েছে।
এদিকে আজ সকালে চার নম্বর ফেরিঘাটের পল্টুন ভেঙে যাওয়ায়- ঘাটটি দিয়ে যানবাহন পারাপার বন্ধ রেখে ঘাটটি মেরামতের কাজ চলছে। রাত নাগাদ ঘাটটি মেরামত করার পর ঘাটটি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে দৌলতদিয়া ঘাটের এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ঈদের আগে ঘাট পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ঢাকার সাথে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর যোগাযোগ ব্যবস্থা কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।