পুলিশের সঙ্গে ‘গুলিবিনিময়’, আহত শিবিরকর্মীর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে ‘গুলিবিনিময়ের’ ঘটনায় আহত ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী আনিসুর রহমান আনিস আজ সোমবার ভোররাতে সদর হাসপাতালে মারা গেছেন।
পুলিশের দাবি, গুলিবিনিময়ের সময় সহকর্মীদের ছোড়া গুলিতে আনিস আহত হয়েছেন। তবে পুলিশের গুলিতেই আনিস নিহত হয়েছেন বলে দাবি জামায়াতের।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল ইসলাম জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির প্রতিবাদে গতকাল রোববার রাতে হরতালের সমর্থনে শহরে মিছিল বের করেন শিবিরকর্মীরা। এ সময় তাঁরা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান। পুলিশ ধাওয়া দিয়ে আনিসকে আটক করে। আনিস শহরজুড়ে ককটেল বিস্ফোরণে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বলে দাবি করে পুলিশ।
ওসি বলেন, আটকের পর আনিসের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাতেই শহরের ভাই ভাই ছাত্রাবাসসহ আশপাশের আরো দুটি ছাত্রাবাসে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তিনটি ককটেলসহ পাঁচ শিবিরকর্মীকে আটক করা হয়। ওই পাঁচজনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আজ ভোররাতে আনিসকে সঙ্গে নিয়ে শহর রক্ষা বাঁধ এলাকায় পৌঁছালে অপেক্ষমাণ শিবিরকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় সহকর্মীদের ছোড়া গুলিতে আনিস আহত হন। তাঁর ডান পায়ে গুলি লাগে। পরে আনিসকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে তিনি মারা যান।
তবে জেলা জামায়াতের আমির শাহিনুর আলম দাবি করেছেন, আনিস পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আনিসের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নূরুল ইসলাম।