শিল্পপতি রাগীব আলীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

জালিয়াতির মাধ্যমে তারাপুর চা বাগান দখলে নেওয়ার মামলায় সিলেটের শিল্পপতি রাগীব আলীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর এ মামলা দায়েরের ১১ বছর পর আজ রোববার সকালে সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরুর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআইয়ের সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারওয়ার জাহান জানান, ২০০৫ সালে সরকারের নির্দেশে রাগীব আলীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের কাগজ জালিয়াতি করে তারাপুর চা বাগান নিজেদের নামে লিখে নেওয়ার অভিযোগে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
২০০৫ সালে জেলা প্রশাসনের পক্ষে মামলা দুটি করেন তৎকালীন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম আবদুল কাদির।
এর মধ্যে একটি মামলায় রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আবদুল হাইকে আসামি করা হয়। অপর মামলায় রাগীব আলী, তাঁর স্ত্রী রাবেয়া আলী, ছেলে, স্বজন মোস্তাক মজিদ ও তারাপুর চা বাগানের মন্দিরের সেবায়েত পঙ্কজ দাশগুপ্তসহ সাতজনকে আসামি করা হয়।
এদের মধ্যে রাগীব আলীর স্ত্রী মারা যাওয়ায় অভিযোগপত্র থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন এ মামলাগুলো বন্ধ থাকার পর গত এপ্রিল মাসে উচ্চ আদালতের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে পিবিআই।
এ দিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশে গত ১৫ মে শিল্পপতি রাগীব আলীর কব্জা থেকে সিলেটের তারাপুর চা বাগান দখল করে সেবায়েতের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রায় হাজার কোটি টাকা মূল্যমানের এই দেবোত্তর সম্পত্তি দীর্ঘদিন ধরে রাগীব আলীর দখলে ছিল।
সম্প্রতি উচ্চ আদালতের এক রায়ে বলা হয়, রাগীব আলী প্রতারণার মাধ্যমে তারাপুর চা বাগান দখল করেছেন। চা বাগানটি দখলমুক্ত করতে সিলেটের জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে চা বাগান ধ্বংস করে গড়ে ওঠা সব স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনাও দেন আদালত।
আপিল বিভাগের চার বিচারক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত ১৯ জানুয়ারি এ রায় ঘোষণা করেন।