নির্বাচনী সহিংসতা : গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্যের মৃত্যু
মাদারীপুরে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য শওকত মাতুব্বর (৪৫) মারা গেছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। দুই মাস ১০ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
শওকত মাতুব্বর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের চাপাতলী গ্রামে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বর্তমানে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নিহত শওকতের ভাগ্নে রাসেল বলেন, ‘আমার মামা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় আড়াই মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর মারা গেছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে লাশের ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে মস্তফাপুর চাপাতলী এলাকায় নিয়ে জানাজা ও দাফন করা হবে।’
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি তিনি মারা গেছেন। তাঁকে ফরিদপুর কারাগারের আন্ডারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছিল।’
গত ৩১ মার্চ মস্তফাপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী কুদ্দুস মল্লিক বিজয় লাভ করেন এবং আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সোহরাব খান পরাজিত হন। নির্বাচনের পর থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত ১৬ এপ্রিল আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ছাড়া ছয়টি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ধাওয়া করে চাপাতলী গ্রামে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ ১২টি গুলি করে। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে শওকত মাতুব্বর (৪৫), আলী আজগর মাতুব্বর (২৭) ও জুয়েল মল্লিক (২৮)—এ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এ সময় আহত হন আরো সাতজন।
পরে তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও ঢাকার হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এর সাত দিন পর জুয়েল মল্লিক ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান।