নীলফামারীতে বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি
ভারি বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে তিস্তা নদীর দুই তীরের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, আজ বুধবার সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার)। এর আগে সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই তিস্তার পানি হু-হু করে বাড়তে থাকে। পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইসগেট খুলে রাখা হয়েছে।
এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল এখন হাঁটুপানিতে নিমজ্জিত। জেলার ডিমলা উপজেলার ছাতুনামা, ঝাড়সিংহের চর, কিসমত ছাতনাই, উত্তর খড়িবাড়ী, পূর্ব খড়িবাড়ী, দোহল পাড়া, চর খড়িবাড়ী, ভাসানীর চর, টাবুর চর, ছোট খাতা, ভেন্ডাবাড়ী, বাইশপুকুর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে রাতেই উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরা
তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার উজানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ডিমলা উপজেলার ৯ নম্বর টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চড় খড়িবাড়ী গ্রামের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত যৌথ বাঁধটি হুমকির মুখে পড়েছে। গত দুদিনে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধটিতে ভাঙন দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বাঁধটি ভেঙে গেলে তিস্তাপাড়ের ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে। তাই এলাকাবাসী মাইকিং করে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছেন।
বাঁধ নির্মাণের মূল উদ্যোক্তা ময়নুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এলাকার সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাঁধটির নির্মাণের কাজ দেড় মাস আগে সম্পন্ন করা হয়। এখন বাঁধটি রক্ষা করা না গেলে জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের একতার বাজার, চরখড়িবাড়ী, ঝিঞ্জির পাড়া, লালমনিরহাটে হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গুড্ডিমারী ও বাউরা ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবার এ বর্ষায় তিস্তার বন্যায় পানি বন্দি হয়ে পড়বেন। তাই এলাকায় মাইকিং করে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।