জামালপুরের আটজনের রায় যেকোনো দিন
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামালপুরের আটজনের রায় ঘোষণা করা হতে পারে যেকোনো দিন।
আজ রোববার উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ।
মামলার আট আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক ও এস এম ইউসুফ আলী। মুহাম্মদ আশরাফ হোসাইন ছাড়াও পলাতক অন্য আসামিরা হলেন অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, মোহাম্মদ আবদুল বারী, মো. হারুন ও মোহাম্মদ আবুল হাসেম।
এ মামলায় প্রসিকিউশনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ। তাঁকে সহায়তা করেন প্রসিকিউটর হৃষিকেশ সাহা, প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম, প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন, প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম, প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল ও প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার ও আইনজীবী মিজানুল ইসলাম আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতনসহ পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।
২০১৫ সালের ২৯ এপ্রিল এই ৮ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ২২ জুলাই পলাতক জামালপুরের ছয় রাজাকারকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১৯ এপ্রিল এই আট আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট পাঁচটি ঘটনায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন।
এর আগে গত বছরের ২৪ মার্চ রাজধানীর ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আট রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
৯২ পৃষ্ঠার মূল তদন্ত প্রতিবেদনসহ ৫৯৬ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের সাক্ষ্য-প্রমাণ ও দলিল রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা মতিউর রহমান ২০১৩ সালের ৬ জুন থেকে তদন্তকাজ শুরু করে ২৪ মার্চ তা সম্পন্ন করেন।