ঝিনাইদহে সদস্য প্রার্থীর ভোট গণনা করতে রুল
ঝিনাইদহে দুই ভোটে পরাজিত এক সদস্য পদপ্রার্থীর ভোট পুনরায় গণনা করতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার দুপুরে বিচারপতি এম মোয়াজ্জেম হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ বদরুজ্জামানের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রুলের বিষয়ে ঝিনাইদহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘হাইকোর্ট যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন সেভাবেই সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’
রুলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনা ১৩ জুন হাইকোর্টে রিটটি করেন। আজ রিটের শুনানি করেন ব্যারিস্টার মুনতাসির উদ্দীন আহমেদ ও আইনজীবী অজিত শীল।
এ ছাড়া হাইকোর্ট ওই প্রার্থীর অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষিত প্রার্থী মো. রবিউল ইসলামের গেজেট স্থগিত রাখার নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে রিটকারীর আইনজীবী অজিত শীল বলেছেন, ‘প্রার্থীর পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণাদি আছে। হাইকোর্ট সে প্রমাণ অনুযায়ী নির্দেশনা দিয়েছেন। আশা করি, ন্যায়বিচার মিলবে।’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুনতাসির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্ট রুল নিশি জারি করেছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে প্রার্থীর অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন পাশাপাশি গেজেট স্থগিত করেছেন।
গত ২৮ মে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রের ভোট গণনায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ করেন পরাজিত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনা।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমান মিনা ৩১ মে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার নির্বাচন কমিশনার, কমিশনের সচিব, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে সদস্য পদপ্রার্থী উল্লেখ করেন, ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক এ এইচ এম হুমায়ুন কবির একবার ভোট গণনা করেই তড়িঘড়ি করে কেন্দ্র ত্যাগ করেন। তাঁর (রিটকারী প্রার্থী) পোলিং এজেন্ট আলতাফ হোসেন ভোট পুনরায় গণনা করতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ করলেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. রবিউল ইসলামের (তালা প্রতীক) পক্ষ নিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দুই ভোটের ব্যবধানে মিজানুর রহমানকে পরাজিত ঘোষণা করেন- এমন অভিযোগ ভ্যানগাড়ি প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনার।
গত ১লা জুন ঝিনাইদহ প্রেস ক্লাবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার অনিয়ম উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন দুই ভোটে পরাজিত ওই প্রার্থী।