নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রাণনাশের হুমকিতে
ফরিদপুরের নগরকান্দায় দলীয় কোন্দলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সময়েও দিশেহারা ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ। শেষ ধাপের নির্বাচনে উপজেলার নয়টির মধ্যে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হয় তিনটিতে, আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী পাঁচটিতে এবং একটিতে বিএনপি। নির্বাচনের সময় শুরু হওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে কোন্দল এখন মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে।
আর এই কোন্দল সামাল দিতে পুলিশকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। নির্বাচনের পরের দিন পুররপাড়া ইউনিয়নে সংঘর্ষ হয়। এর দুই দিন পরই সংঘর্ষ শুরু হয় চরযশোরদি ইউনিয়নে। আর এ সংঘর্ষ অন্য কোনো শিবিরের সঙ্গে নয়, নিজ দলের মধ্যেই। বিজয়ী ও পরাজিতদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে অনেকের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে অনেকে।
উপজেলার চরযশোরদি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী কামরুজ্জামান সাহেব ফকিরের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার রমজানের প্রথম দিনে ইফতারের আগে ইউনিয়নের কুমারদিয়া গ্রামে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী পথিক তালুকদারের সমর্থকরা তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। পথিক তালুকদারের সমর্থক তারা মিয়ার নেতৃত্বে কয়েক হাজার লোক কুমারদিয়ার শতাধিক নিরস্ত্র মানুষের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ধ্বংসযজ্ঞে মেতে ওঠে। এ সময় প্রাণভয়ে গ্রামের লোকজন সবাই পাটক্ষেত ও ফসলি মাঠে আশ্রয় নেয়। এ সুযোগে হামলাকারীরা বাড়িঘর ভাঙচুরসহ টাকা, স্বর্ণালংকার ও দামি আসবাবপত্র লুটপাট করে।
কুমারদিয়া গ্রামের শিক্ষক ফরিদুজ্জামান বলেন, ‘নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে এখন জীবন নিয়ে পালাইয়া বেড়াইতেছি।’
নৌকা প্রতীকের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন আব্দুল আলীম মাস্টার, ফরিদুজ্জামান মাস্টার , মুক্তিযোদ্ধা হারুনর রশীদ। তাদের অভিযোগ, তাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেই ক্ষান্ত হয়নি পথিক তালুকদারের সমর্থকরা। তারা এখন তাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। বাড়িঘর ছেড়ে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এই গ্রামের আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা।