আনোয়ারায় নির্বাচন ঘিরে সংঘর্ষ, ঘরে আগুন
চট্টগ্রামের আনোয়ারা বারাশত ইউনিয়নে দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা ১১টি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দেয়। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আনোয়ারা উপজেলার বারাশত ইউনিয়নের দুধকুমড়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে কেন্দ্রের ভোট কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও বিএনপি সমর্থিত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় দুধকুমড়া বোয়ালিয়া এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
চট্টগ্রামের উপপুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ জানান, ঘটনার সময় পুলিশ বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা ভোটকেন্দ্রের আশপাশে থাকা বেশ কয়েকটি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় আসবাবপত্রসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় লাকি আক্তার নামে এক নারী অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার সময় বিক্ষুব্ধ উচ্ছৃঙ্খল যুবকরা আমার ঘরটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় নগদ ২০ হাজার টাকাসহ বিপুল পরিমাণ মূল্যবান জিনিসপত্র পুড়ে যায়।’
ক্ষতিগ্রস্ত লাকী আক্তার আরো জানান, তাঁর স্বামী ফেরদৌস চার বছর ধরে ওমান প্রবাসী। সন্তান নিয়ে তিনি পুড়ে যাওয়া ঘরটিতে বসবাস করতেন। তাঁর বাড়ির সামনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পোস্টার থাকায় তাদের ঘরটি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন লাকি আক্তার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্র দখল করতে আসা দুই পক্ষের সংঘর্ষের একপর্যায়ে একপক্ষ পিছু হটে ঘরগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এদিকে ঘটনার সময় সংঘর্ষে আহত ১৫ জনের মধ্যে পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে নূর মোহাম্মদ, মো. নাজিম উদ্দিন, শহীদুল ইসলাম, আবদুর রহিমের অবস্থা গুরুতর।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম হাসান চৌধুরী জানান, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত লোকদের দিয়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এম এ কাইয়ুম শাহ্ এ ঘটনার জন্য বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীকে দায়ী করেন।