ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের শেষ ধাপে ভোট দিতে পারেননি সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের কমলাপুর গ্রামের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন। আজ শনিবার সকালে বিরুলিয়া ইউপি নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে মারধরের শিকার হন তাঁরা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে ভোট দিতে আসেন কমলাপুর গ্রামের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকজন। ৯টার দিকে তাঁদের ওপর হামলা চালায় বিরুলিয়া ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইদুর রহমান সুজনের লোকজন। এ সময় সুজনের সহযোগী আল আমিন ও সদস্য প্রার্থী আহাজুল হকের নেতৃত্ব একদল সমর্থক ভোটারদের চেয়ার-রড ইত্যাদি দিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে ভোটাররা ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করেন। পরে কমলাপুর গ্রামে গিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরে হামলা চালায় সুজনের সমর্থকরা। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। 

এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাচনী কর্মকর্তা মমিনুজ্জামান জানান, সে সময় ভোটগ্রহণ চালিয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কায় পড়েছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানান। তিনি ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাঠান।

তবে হামলার ঘটনার পর ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা বা ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার কোনো ব্যবস্থা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করেনি বলে অভিযোগ করেন ভোটাররা।

এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সাইদুর রহমান সুজন বলেন, এসবের সঙ্গে তিনি বা তাঁর লোকজন জড়িত নন। দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁর দাবি।

দুপুরে নির্বাচন চলাকালে সাভারের বিরুলিয়ায় নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহমুদুল হাসান আলাল নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, বিরুলিয়া ইউপিতে সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের দলীয় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সাইদুর রহমান সুজনের নেতাকর্মীরা জাল ভোট দেন। এ নির্বাচনে ভোট চুরি ও অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।