ঢাকার ধামরাই উপজেলার এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে এর ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার কেলিয়া গ্রাম থেকে এদের আটক করা হয়। 

ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, গত ৩০ জানুয়ারি অন্য দিনের মতো কুল্লা ইউনিয়নের জয়পুরা অ্যাসেট কিন্ডারগার্টেনে
শিক্ষক মজিবর রহমানের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায় ওই এসএসসি পরীক্ষার্থী (১৬)। এ সময় শিক্ষক মজিবরের বাড়ির দ্বিতীয় তলার ছাদে জোর করে নিয়ে যায় তারই সহপাঠী রাজিব হোসেন। সেখানে তার অন্য দুই বন্ধুর সহযোগিতায় ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে রাজীব। এ ঘটনা মোবাইলে ধারণ করে রাজীবের আরেক সহযোগী। এরপর ওই ভিডিওচিত্র এলাকার যুবকদের মোবাইলফোনে ছড়িয়ে দেয় তারা।

ঘটনা জানাজানির পর এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া বন্ধ করে দেয় ওই শিক্ষার্থী। এমনকি বেশ কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টাও করে সে।

এদিকে এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রাতে কেলিয়া গ্রামের মোস্তফা জাফর, আনোয়ার হোসেন, আলামিন ও খাইরুল ইসলামকে আটক করা হয় বলে জানান ধামরাই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার আলী। এদের সবার বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। এসময় ধর্ষণের ভিডিও ক্লিপসহ আটকদের মোবাইলফোন সেট জব্দ করে পুলিশ। তবে শিক্ষক মজিবর রহমান ও ধর্ষক রাজিব হোসেনকে এখনও আটক করা যায়নি। তবে এদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

সেকেন্দার আলী আরো জানান, শিক্ষক মজিবুর তার ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছেন। ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম ও ধামরাই থানার ওসি।