নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরশহরের মহল্লার এক বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এই ঘটনার পর স্থানীয় প্রভাবশালীরা সালিশ বৈঠক করে অভিযুক্ত ধর্ষককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে।

স্কুলছাত্রীর রিকশাচালক বাবা ওই বিচার প্রত্যাখ্যান করে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে সৈয়দপুর থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ আজ মঙ্গলবার আসামি আলী হাসান সুজনকে (২৫) গ্রেপ্তারে অভিযান চালালেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে পুলিশের দাবি, আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

মামলার এজাহারে জানা যায়, স্কুলছাত্রীর পরিবার সৈয়দপুর শহরে থাকে। পহেলা বৈশাখের বিকেলে বাদী মেয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মহল্লার একটি বাড়িতে টেলিভিশন দেখতে যায়। এ সময় শিশুটিকে একা পেয়ে রেল কর্মচারী আলী হাসান সুজন ধর্ষণ করে। শিশুটি চিৎকার করলে সুজন পালিয়ে যায়। এ সময় মহল্লার লোকজন ছুটে এসে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে সৈয়দপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থায় অবনতি হলে শিশুটিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে পহেলা বৈশাখের রাতেই স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী সালিশ বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে উপস্থিত ধর্ষক সুজনকে প্রভাবশালীরা ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। কিন্তু শিশুটির পরিবার বিচার প্রত্যাখ্যান করে সুজনের বিচার দাবি করে। নিরূপায় হয়ে শিশুটির বাবা সোমবার রাতে সৈয়দপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আমিরুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামিকে ধরতে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।