পরিকল্পনাকারী খালুসহ তিনজনের ফাঁসির আদেশ
মুক্তিপণের জন্য ছোট্ট শিশু রাহাতকে অপহরণ করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাকে হত্যা করা হয়। শেরপুরের আলোচিত এ ঘটনার এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ঘোষিত হয়েছে আরাফাত ইসলাম রাহাত হত্যা মামলার রায়।
আজ মঙ্গলবার শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে মামলার চার অভিযুক্তের মধ্যে তিনজনের ফাঁসি ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—আসলাম বাবু, রবিন মিয়া ও আবদুল লতিফ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা পেয়েছেন ইমরান হোসেন।
২০১৫ সালের ২ আগস্ট শেরপুরের বিপ্লব লোপা মেমোরিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ও শেরপুর জেলা শহরের গৃর্দানারায়ণপুর এলাকার ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম খোকনের একমাত্র ছেলে রাহাতকে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ করা হয়।
সেদিন সন্ধ্যায় মুক্তিপণের টাকা দাবি করা হয় রাহাতের বাবার কাছে। এ সময় রাহাতের বাবা শহিদুল বিষয়টি পুলিশকে জানালে ৩ আগস্ট দুপুরে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার সময় রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিন জানায়, রাহাতের আপন খালু আবদুল লতিফ এই অপহরণের পরিকল্পনা করেন। পুলিশ ৪ আগস্ট লতিফকে পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুরের ফুলকার চর থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে শেরপুরের মুন্সীর চর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আসলামকে।
আসলামের দেওয়া তথ্যমতে, অপহৃত হওয়ার ছয় দিন পর শেরপুরের মধুটিলা ইকোপার্কের গহিন জঙ্গল থেকে শিশু রাহাতের মাথার খুলিসহ দেহের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার করে শেরপুর সদর থানা পুলিশ ও পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি যৌথ দল। পরিধেয় প্যান্ট ও শার্ট দেখে লাশটি রাহাতের বলে শনাক্ত করা হয়।
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ট্রাইব্যুনালের পিপি গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া বুলু। তাঁকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত উল্লাহ তারা ও অ্যাডভোকেট পংকজ কুমার নন্দী।
অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন হাইকোর্টের আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার, অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র হোড় ও অ্যাডভোকেট আবদুর রউফ মিয়া।