পটুয়াখালীতে বিএনপি নেতা জেলহাজতে
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও পৌর বিএনপির সভাপতি মাকসুদ বায়েজীদ পান্না মিয়া গতকাল একটি হত্যা মামলায় পটুয়াখালীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারিক শামসের আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, সদর থানার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের শারিকখালী গ্রামের আইয়ুব আলী মাতবরের সঙ্গে তাঁর ভাতিজা বাহাদুর মাতবরের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জেরে ২০১৫ সালের ১৯ জুলাই দুপুরে বাহাদুর মাতবর তাঁর লোকজন নিয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আইয়ুব আলী মাতবরের ছেলে মাসুদকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে মাসুদকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে আইয়ুব আলী মাতবর মাকসুদ আহমেদ বায়েজীদ পান্না মিয়াকে হুকুমদাতা হিসেবে ১৪ নম্বর আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালত প্রাঙ্গণে মাকসুদ আহমেদ বায়েজীদ পান্না মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ, যারা দোষী, যারা হত্যাকারী, যারা একটি নিরপরাধ ছেলেকে হত্যা করেছে, তাদের বিচার হওয়া উচিত। আমি পৌরসভার বাসিন্দা। দুবার মেয়র নির্বাচন করেছি। আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ ঘটনায় জড়ানো হয়েছে।’
মাকসুদ বায়েজীদ পান্না মিয়ার আইনজীবী মজিবর রহমান দুলাল জানান, মামলার বাদী আদালতে এফিডেভিট দিয়ে বলেছেন, মাকসুদ বায়েজীদ পান্না তার মামলার আসামি নন। তাঁকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়ার জন্যও সে আবেদন করেছে।