টেকনাফে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় নিহত ২, আহত ৩০
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একই ইউনিয়নে পৃথক ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত ও আওয়ামী বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সঙ্গে পুলিশ-বিজিবির ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। নিহতরা হলেন আবদুল গফুর ও শফিক আলম প্রকাশ দুদু মিয়া। এ সময় আরো অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধ হন।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নূর হোসেনের বিজয়ের খবর প্রকাশ পাওয়ার পর আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সোনা আলী ও তাঁর সমর্থকরা সাবরাং বাজারে এসে বিক্ষোভ ও রাস্তায় ব্যারিকেড দেওয়ার চেষ্টা করলে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ ও বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে প্রথমে লাঠিপেটা ও পরে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুল গফুর মারা যান। নিহত গফুর চেয়ারম্যান প্রার্থী নূর হোসেনের ভাই।
অপরদিকে একই সময়ে একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের এক মেম্বার প্রার্থীর বিজয়ের ঘটনার রেশ ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় শফিক আলম প্রকাশ দুদু মিয়া নামে আরো একজন নিহত হয়।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গেছে, ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।