রাজধানীর সব থানা-ওয়ার্ডে বিক্ষোভের কর্মসূচি বিএনপির

যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ‘সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরত’ দেওয়ার দাবিতে রাজধানীর সব থানা ও ওয়ার্ডে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করছে ঢাকা মহানগর বিএনপি। আগামী শনিবার দলটি এ কর্মসূচি পালন করবে।
আজ বৃহস্পতিবার মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ও সদস্য সচিব হাবীব-উন- নবী খান সোহেল এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব, সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ নিখোঁজ হওয়ার খবরে গোটা দেশবাসী উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠিত। ঘটনার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও সরকার অথবা সরকারের কোনো সংস্থা তাঁকে আটক বা গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেনি। এমনকি তাঁর পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে তাকে খুঁজে বের করার জন্য সরকারের কাছে বারবার দাবি জানানো হলেও সরকার সে বিষয়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। সরকারের এ রহস্যজনক আচরণ জনমনে সৃষ্ট উৎকণ্ঠাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।’
বিবৃতিতে বিএনপির ‘নেতা-কর্মী ও উদ্বিগ্ন নাগরিকদের মিছিলে শরিক’ হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
১০ মার্চ থেকে ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তাঁকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাঁর পরিবার ও দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে আটক করা হয়নি বলে দাবি করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সালাহ উদ্দিন আহমেদের সন্ধান চেয়ে ১১ মার্চ রাতে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গুলশান ও উত্তরা পশ্চিম থানায় যান তাঁর স্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য হাসিনা আহমেদ। তবে কোনো থানাই তাঁর জিডি গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান ওই দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’ এমনকি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার মাসুদুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জানা নেই।’
এ ঘটনার পরের দিন বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ কোথায় আছেন বা তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন কি না, তা পরিষ্কার নয়। তদন্তের পরই এ বিষয়ে স্পষ্ট বলা যাবে।
১২ মার্চ হাসিনা আহমেদের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কেন খুঁজে বের করা হবে না এবং রোববার তাঁকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলের ওপর শুনানির পরবর্তী দিন ৮ এপ্রিল।