রাজনৈতিক হয়রানির জন্য তারেকের শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা
রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শাশুড়ি হওয়ার কারণে সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু কোনোরূপ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন বরং বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচিত এবং পারিবারিক দীর্ঘ ঐতিহ্য নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িত রেখেছেন। একজন অরাজনৈতিক সমাজসেবক ব্যক্তিত্ব ও সাবেক নৌবাহিনী প্রধানের স্ত্রীর বিরুদ্ধে এই রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা।’ অবিলম্বে সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
বিএনপির নেতা বলেন, বর্তমান অবৈধ জুলুমবাজ সরকার পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং আদালতকে ব্যবহার করে এতদিন বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদদের হয়রানি, নিপীড়ন ও নির্যাতন করেছে। এবার তারা বিরোধী রাজনীতিবিদদের পরিবারের অরাজনৈতিক সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের হয়রানিমূলক আচরণ শুরু করেছে। তিনি বলেন, সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের সদস্য। আসামের প্রথম মুসলিম ব্যারিস্টার এবং নিখিল ভারত আইন পরিষদের সদস্য (এমএলএ) ও আসাম কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আলী খানের ছোট ছেলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান মরহুম মাহবুব আলী খানের স্ত্রী সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু ১৯৭৯ সালে সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য মাত্র একজন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করেছিলেন ‘সুরভী’ নামে স্কুল এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।
দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সই করা বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘প্রচারবিমুখ এই মহীয়সী নারীর নিরলস পরিশ্রমের কারণে আজ পর্যন্ত ২০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থীর জীবনে শিক্ষার আলো জ্বেলেছে সেই প্রতিষ্ঠান। সুরভীর বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখা ১৬ হাজারের বেশি। ঢাকায় সুরভীর স্কুলের সংখ্যা ১৫টি, সারা দেশে সুরভী কেন্দ্রের সংখ্যা ৮০টি। সুবিধাবঞ্চিতদের একজন সত্যিকারের মানুষে পরিণত করাই সুরভীর লক্ষ্য। সুরভী সুবিধাবঞ্চিতদের স্কুলের পোশাক থেকে শুরু করে পড়াশোনার যাবতীয় বই-খাতা বিনামূল্যে বিতরণ করে; সেই সঙ্গে থাকা-খাওয়া এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ‘শেয়ার =বাজার কেলেঙ্কারি, হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতুতে এসএনসি লাভালিনের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়া আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের দুর্নীতি, রেলের চাকরি দেওয়ার জন্য নেওয়া ঘুষের টাকার বস্তা কেলেঙ্কারি, ইয়াবা পাচারকারী আওয়ামী লীগ এমপির অর্থ কেলেঙ্কারি, ওষুধ ক্রয়ে দুর্নীতি করা আওয়ামী লীগ মন্ত্রীর কেলেঙ্কারি এবং দেশ থেকে বছরে ৭৬ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারকারী আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে দুদক কোনো মামলা দায়ের করে না। বরং সেই সব দুর্নীতিকে বৈধতা দেয়।’ দুর্নীতির কোনো অভিযোগ দাঁড় করাতে না পেরে আয়ের হিসাব চেয়ে মামলা করার মতো এই ধরনের রাজনৈতিক হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের মতো আচরণ করা দুদক নামের প্রতিষ্ঠানটি দেশকে চরম নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।