পদ্মা সেতু
জাজিরায় বিজয়ের আনন্দ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবায় পদ্মা সেতুর নদীশাসন কাজের উদ্বোধন করেন।
এই উদ্বোধন দেখতে আজ সকালে নাওডোবায় নামে মানুষের ঢল। আসে অনেক শিশুও। শিশুদের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। অনেক শিশুর মাথায় ছিল জাতীয় পতাকা মোড়ানো বিজয়ের ব্যান্ড।
এমনই একজন নাওডোবার আলী আহম্মদ ফকির। তিনি তাঁর চার বছর বয়সী ছেলে সায়েম ফকিরকে কোলে নিয়ে এসেছেন নদীশাসন কাজের উদ্বোধন দেখতে। ছেলের মাথায় জড়ানো বিজয়ের ব্যান্ড, হাতে জাতীয় পতাকা। মনে হয় যেন বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছেন বাবা-ছেলে।
আলী আহাম্মদ ফকির বলেন, ‘চোখের সামনে তিলে তিলে পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে রূপ নিতেছে। বিজয়ের মাসে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন আরেকটি বিজয় এনে দিল আমাদের।’
কথা হয় নাওডোবার ছব্দের মাদবরের কান্দি গ্রামের ৬০ বছর বয়সী ইলিয়াছ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার তিন বিঘা জমি গেছে। একটা বাড়ি গেছে। আমাগো থাকনের নাইগা জায়গা দিছে সরকার। অহন হেই যায়গায় থাকি। প্রথম প্রথম কষ্ট লাগছে। অহন আর কষ্ট নাগে না। প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করছে। আমাগো এলাকাডা উন্নত হইয়া যাইতাছে। আমাগো পোলাগো আর কামের লাইগা বিদেশ যাওন লাগবো না। এহেনেই কামের সুযুগ হইবো। দেশটা স্বাধীন হইছিল যহন, তহনকার মতন আনন্দ নাকতাছে।’
শুধু ইলিয়াছ আলী আর আলী আহম্মদ ফকিরই নয়, পুরো জাজিরাবাসীর মনেই বইছে এখন বিজয়ের এই আনন্দ।