কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় কৃষক মতিউর রহমান হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় কিশোরগঞ্জের ১ নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম মামলার ১১ জন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোহাম্মদ ওরফে খোকন জেলার কটিয়াদী উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের পাচলীপাড়া গ্রামের তৈয়বুর রহমানের ছেলে। তাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিচারক।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খোকনের বাবা তৈয়বুর রহমান, দুই ভাই সম্রাট ও রোমান, আশ্রাব আলী, মজিবুর রহমান ও আরব আলী। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তরা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, রেলবিভাগে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তৈয়বুর রহমান একই এলাকার কৃষক মতিউর রহমানের কাছ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা নেন। কিন্তু চাকরি দিতে না পারায় টাকা ফেরত চান মতিউর। এ নিয়ে আসামিদের সঙ্গে বিরোধ বাধে। এর জেরে ২০১১ সালের ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার সময় পাচলীপাড়া এলাকায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মতিউর রহমানকে গুরুতর আহত করে।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মতিউরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন নিহতের ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে কটিয়াদী থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ২১ অক্টোবর ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম ও আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অশোক সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।