কারিগরিমুক্ত কম্প্রিহেনসিভ পরীক্ষার দাবি নার্সিং শিক্ষার্থীদের
দ্রুত কারিগরিমুক্ত কম্প্রিহেনসিভ পরীক্ষার দাবিতে নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। দাবি না মানা পর্যন্ত ঘরে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর বিজয়নগরের বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের সামনে এ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে নানা রকম স্লোগান দিচ্ছেন তাঁরা।
‘দাবি মোদের একটাই, কারিগরিমুক্ত কম্প্রিহেনসিভ পরীক্ষা চাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, নার্সরা কেন রাস্তায়’, ‘বেকার নার্সের আর্তনাদ, পরীক্ষা নিন, চাকরি দিন’, ‘কারিগরিরা নার্স হলে, ভুল সেবায় ভুগবে মানুষ দলে দলে’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া তারিফ নামের এক শিক্ষার্থী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পরীক্ষার তারিখ না দেওয়া পর্যন্ত আমরা আর বাসায় ফিরব না। আমাদের পরীক্ষা নিতে হবে। না হলে আমরা আন্দোলন বন্ধ করব না। আমাদের দাবি মানতেই হবে। প্রয়োজনে আরো বড় কর্মসূচি দেব আমরা।’
তারিফ আরো বলেন, ‘সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি, ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি ও বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং কোর্স সম্পন্নকারী আট হাজার শিক্ষার্থীর কম্প্রিহেনসিভ বা লাইসেন্সিং পরীক্ষা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় অপেক্ষমাণ পরীক্ষার্থী ও বিভিন্ন কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর সমাধান জরুরি। না হলে আরো আন্দোলন হবে।’
ঢাকা নার্সিং কলেজ থেকে নার্সিং পাস করেছেন মাহমুদা পারভিন। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন করেছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই কারিগরিমুক্ত কম্প্রিসেনসিভ পরীক্ষা নেওয়া হোক। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ‘কারিগরি পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্ট’ নামের একটি কোর্স আছে। ওই কোর্সের অধীনে যাঁরা আছেন, তাঁরা বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের অধীনে আসার জন্য আবেদন করেছেন। তাঁরা চান, তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া হোক। সে জন্য জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা কোর্টে একটি মামলাও করেছেন। ওই মামলার রায় হবে আগামী ২৪ তারিখ। তাঁদের জন্য আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না। আমরা চাই, আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হোক এবং তাঁদের বাদ দেওয়া হোক। তাই আমরা অবস্থান কর্মসূচি নিয়েছি।’
ঢাকা নার্সিং কলেজের আরেক শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কাউন্সিলের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁরা বলেছেন, মামলার বিষয়টি দেখছি। এটা নিয়ে কাজ চলছে। দ্রুতই একটা সিদ্ধান্ত আসবে।’
শিক্ষার্থীদের দাবি, ‘মেডিকেল বা নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেমন প্রকৌশলী বা স্থপতিদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় না; তেমনি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও চিকিৎসা শিক্ষা বা নার্সিং শিক্ষা পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই।’