পাবনায় ভুয়া নিবন্ধন সনদে দুই শিক্ষকের চাকরি করার অভিযোগ
পাবনার চাটমোহর উপজেলার বরদানগর আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদে বছরের পর বছর চাকরি করে সরকারি অর্থ পকেটস্থ করছেন দুই শিক্ষক। শুধু তাই নয়, একজন শরীরচর্চা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেলেও জালিয়াতি করে এমপিওভুক্ত হয়েছেন সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে।
অভিযুক্ত হলেন শরীরচর্চা শিক্ষক মাহফুজা আকতার ও সহকারী মৌলভি মো. খায়রুল আলম।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সহকারী মৌলভি মো. খায়রুল ইসলাম ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল বরদানগর আব্বাসিয়া দাখিল মাদ্রাসায় যোগ দেন। পরে শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদ নিয়ে কাজী খায়রুল আলম নামে এমপিওভুক্ত হন। সেই থেকে নিয়মিত বেতন ও ভাতা তুলছেন ওই শিক্ষক।
এদিকে শরীরচর্চা শিক্ষক হিসেবে ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর ওই মাদ্রাসায় যোগ দেন মাহফুজা আকতার ওরফে বিউটি। পরবর্তীতে শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদ এনে সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে যোগদান দেখিয়ে এমপিওভুক্ত হন। অথচ তার নিয়োগের সময় সহকারী শিক্ষক (বাংলা) পদে কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি এবং তাকে ওই পদে নিয়োগও দেওয়া হয়নি। জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক নিবন্ধনের ভুয়া সনদ ও বিএড পাসের ভুয়া সনদ দিয়ে এমপিওভুক্ত হন। সেই থেকে তিনিও সরকারি অর্থ পকেটস্থ করছেন।
ওই মাদ্রাসার দুই শিক্ষকের দুর্নীতির বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি মাদ্রাসার সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন।
সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব না দিয়ে মাদ্রাসা সভাপতি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো কিছু বলতে পারব না।’ তবে জানা যায়, সহকারী মৌলভি খায়রুল আলম সভাপতির নিকট আত্মীয়। এ কারণে তিনি মুখ খুলছেন না।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. সাইদুল ইসলাম এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য না করেন বলেন, ‘ওই সময়ের নিয়োগ কমিটিই ভালো বলতে পারবে। তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করেন। আমি এ বিষয়ে কিছুই বলব না।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মগরেব আলী বলেন, ‘কেউ অভিযোগ দিলে আমি তদন্ত করব। তা ছাড়া আপনি যখন বললেন আমি অবশ্যই এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
এলাকাবাসী এই দুই শিক্ষকের ভুয়া নিবন্ধনের বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করে।