কিশোরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নূরুল ইসলাম কাঞ্চনের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার বাদ আছর মরহুমের নিজ বাড়ির সামনে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শাহ মাহমুদ মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় আগে পুলিশের একটি দল মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আনোয়ার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এবং মরহুমের বড় ছেলে এনটিভির অনুষ্ঠান ও যোগাযোগ বিভাগের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী কর্মকর্তা পাভেল ইসলাম।
আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে ঢাকার আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরুল ইসলামশেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কর্মজীবনে পুলিশ বিভাগের হাবিলদার মো. নূরুল ইসলাম কাঞ্চন ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে দায়িত্বরত অবস্থায় অসীম বীরত্বের সঙ্গে অস্ত্র হাতে নিয়ে অন্য সহকর্মীদের নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে রাতভর মোকাবিলা করেন। এ ছাড়া তিনি ৯ ও ১১ নম্বর সেক্টরে সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করেন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মো. নূরুল ইসলাম কাঞ্চনসহ রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ১৯ সহকর্মীকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। পরে তিনি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে নিরাপত্তা দলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে তিনি পুলিশ বিভাগের সাংস্কৃতিক দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন।