সিটি করপোরেশন হচ্ছে ফরিদপুর, মিষ্টি বিতরণ
দেশের অন্যতম পুরোনো পৌরসভা ফরিদপুরকে সিটি করপোরেশন ও পদ্মা বিভাগ করা হচ্ছে। আজ সোমবার সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) বৈঠকে ফরিদপুরকে দেশের ১৩তম সিটি করপোরেশন এবং নবম বিভাগ ঘোষণা করা হয়। এ খবরে ফরিদপুরে সর্বত্র আনন্দের বন্যা বইয়ে যায় এবং লোকজনের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ফরিদপুর পৌরসভা। পৌর এলাকাটি পরে ধাপে ধাপে সম্প্রসারণ করা হয়। পৌর এলাকা সম্প্রসারণের ফলে পরিকল্পিত আবাসন, যোগাযোগ অবকাঠামো, পয়ঃনিষ্কাশন, পানি সরবরাহ ও অন্যান্য নাগরিক সুবিধার চাহিদা বাড়তে থাকে। বর্তমানে এ পৌরসভার ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে।
এই বর্ধিত চাহিদা পূরণের জন্য জেলা প্রশাসন ২০১০ সালে ফরিদপুর পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন করার প্রস্তাব দেয়।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পৌর এলাকা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যে আটটি শর্ত রয়েছে তার সবই এরই মধ্যে পূরণ করেছে ফরিদপুর পৌরসভা।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বর্তমানে ফরিদপুর পৌর এলাকার জনসংখ্যা পাঁচ লাখ ৫৭ হাজার ৬৩২ জন। ফরিদপুরে ২২৫টি ছোট-বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া ফরিদপুর পৌরসভার বার্ষিক আয় ৫১ কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা।
সিটি করপোরেশন হতে হলে আয়তন হতে হবে কমপক্ষে ২৫ বর্গকিলোমিটার। সেক্ষেত্রে ফরিদপুরের আয়তন ৬৬ বর্গকিলোমিটার।
এদিকে ফরিদপুরকে সিটি করপোরেশন ও পদ্মা বিভাগ ঘোষণার পরপর শহরবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। অনেকে সরকার প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করে।
ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন এমপি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশা করেছিলাম নিকার বৈঠকে শুধু ফরিদপুরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করা হবে। কিন্তু একইসঙ্গে পদ্মা নামে ফরিদপুরকে বিভাগের কথা বলা হয়েছে। এর সদর দপ্তর ফরিদপুরে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।’